গত জাতীয় নির্বাচনের তুলনায় এবার বাংলাদেশে একটি ভালো নির্বাচন হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি।
মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ডিক্যাব) আয়োজিত ‘ডিক্যাব টক’ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
জাপানি রাষ্ট্রদূত বলেন, আমি সরকারের কিছু ইতিবাচক পদক্ষেপ লক্ষ করেছিৃ। তাই ৫০ বছর পর প্রথমবারের মতো একটি নতুন আইন প্রণয়ন হলো। আমি মনে করি এটি একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ।
তিনি বলেন, আগামী বছরের শেষের দিকে নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও গণমাধ্যম প্রায় প্রতিদিনই নির্বাচনী বিষয় নিয়ে কথা বলছে এবং সংবাদ প্রচার করছে।
রাষ্ট্রদূত নাওকি বলেন, তার প্রত্যাশা গত জাতীয় নির্বাচনের তুলনায় একটি ভালো, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য এখন থেকে আগামী বছরের শেষ পর্যন্ত আরও কিছু ব্যবস্থা নেয়া হবে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, তিনি কয়েকজন সরকারি কর্মকর্তাকে বলেছেন বাংলাদেশে এবার তুলনামূলক ভালো, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে-এমনটা প্রত্যাশা করে জাপান। ‘আমি সরকারের কাছে এ দাবি উত্থাপন অব্যাহত রাখব।’
তিনি বলেন, আপনারা শুনে অবাক হবেন ২০১৮ সালের ডিসেম্বরের নির্বাচনের পরপররই জাপান দূতাবাস কিছু উদ্বেগ জানিয়ে একটি বিবৃতি দেয়। এর মূল বিষয় ছিল- নির্বাচনকে ঘিরে যে সহিংসতা হয়েছিল।
গণমাধ্যমের ভূমিকা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, আমি মনে করি তুলনামূলক ভালো নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য গণমাধ্যমের জন্য জায়গা থাকা গুরুত্বপূর্ণ। গণমাধ্যমের ভূমিকা ছোট করে দেখা উচিত নয়।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ কিছু বিধি-বিধানের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আগামী বছর নির্বাচনের সময় গণমাধ্যমের জন্য জায়গা থাকবে বলে আমি আশাবাদী।
ডিক্যাব সভাপতি রেজাউল করিম লোটাসের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক একেএম মঈনুদ্দিন।