ঢাকা: দেশে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ভ্যাকসিন প্রয়োগ কার্যক্রমে বিভিন্ন মহল থেকে বক্তব্য দেওয়ায় জনমনে কিছুটা বিভ্রান্তির সৃষ্ঠি হয়েছে বলে মনে করছে কোভিড-১৯ মোকাবিলায় গঠিত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। এই বিভ্রান্তি দূর করতে ভ্যাকসিন কার্যক্রমের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের সরাসরি গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সুপারিশ করেছে কমিটির সদস্যরা।
শুক্রবার (১৩ আগস্ট) রাতে পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লার সই করা বিজ্ঞপ্তিতে সরকারের কাছে সুপারিশ করার বিষয়টি জানানো হয়। এর আগে গত বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) কমিটির ৪৪তম অনলাইন সভায় এই সুপারিশ গৃহীত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুল্লা।
বিজ্ঞপ্তিতে সভায় কমিটির সদস্যদের উপস্থিতিতে বিস্তারিত আলোচনা শেষে নেওয়া সুপারিশগুলোর বিষয়ে জানানো হয়।
ওই বিজ্ঞপ্তিতে পরামর্শক কমিটি জানায়, সভায় সরকারের কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন কার্যক্রম বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। সদ্য সমাপ্ত ভ্যাকসিন ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে এক সপ্তাহে ৫০ লক্ষাধিক মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়ায় স্বাস্থ্য বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে অভিনন্দন জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, বিভিন্ন মহল থেকে ভ্যাকসিন ক্যাম্পেইন বিষয়ে বিভিন্ন মতামত দেওয়ায় জনমনে কিছুটা বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে। কমিটি মনে করে, ভ্যাকসিন কার্যক্রমের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা এ বিষয়ে সরাসরি গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বললে এরকম পরিস্থিতির উদ্ভব হবে না।
একইসঙ্গে গর্ভবতী ও দুগ্ধদানকারী নারীদের কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন প্রদানের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানায় পরামর্শক কমিটি। গর্ভবতী ও দুগ্ধদানকারী নারীদের ভ্যাকসিন প্রদানের ব্যবস্থা আরও সহজ ও নিরাপদ করার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়। এজন্য প্রয়োজনে ভ্যাকসিন প্রয়োগ কেন্দ্র নির্দিষ্ট করারও সুপারিশ করা হয় বলে ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।