সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
ঢাকা: দেশে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন তৈরির প্রস্তুতি শুরু হতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ করোনার ভ্যাকসিন তৈরির প্রস্তুতি শুরু করতে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী ব্যক্তিগতভাবে সহযোগিতা করবেন। করোনার ভ্যাকসিন তৈরি করতে স্বয়ংসম্পূর্ণ প্রতিষ্ঠানকে আমরা পর্যাপ্ত সহযোগিতা করব।
বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) বিকেলে সাভারের জিরাবোতে ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ইনসেপ্টার কারখানা পরিদর্শন শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, আমাদের দেশ বিভিন্ন খাতে স্বয়ংসম্পূর্ণ। ওষুধ খাতে আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে বিদেশেও রফতানি করছি। আমাদের দেশের বিভিন্ন ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ভ্যাকসিন তৈরি করছে।
তিনি বলেন, বড় আকারে আমরা ভ্যাকসিন তৈরি করতে পারি। তবে এসব আমাদের বাইরে থেকে সংগ্রহ করতে হবে। এসব ভ্যাকসিন তৈরির পর সেটি কতটা কার্যকর, তাও পরীক্ষা করা হবে।
ভ্যাকসিন তৈরিতে প্রয়োজনীয় অনুমোদন নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, করোনার ভ্যাকসিন তৈরিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদিত ল্যাব (পরীক্ষাগার) প্রয়োজন। এরই মধ্যে এমন ল্যাব তৈরির কাজ চলছে দেশে। এই ল্যাবের একটি অংশের (কেমিক্যাল) আমাদের অনুমোদন দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। বাকি অংশ অনুমোদন নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে। এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠানোর প্রক্রিয়াও চলছে।
তিনি বলেন, আমরা দেশেই ভ্যাকসিন তৈরি করতে পারলে দেশবাসীকে খুব সহজেই এই ভ্যাকসিন দিতে পারব। আমাদের ওষুধ কোম্পানিগুলো কোভিডের সব ওষুধ তৈরি করছে। দেশেই আমরা এসব ওষুধ পাচ্ছি। আমাদের কোম্পানিগুলো যদি ভ্যাকসিন তৈরি করে সেগুলোও আমরা নেব।
দেশের নাগরিকদের জন্য ভ্যাকসিনপ্রাপ্তির বিষয়টি তুলে ধরে জাহিদ মালেক বলেন, প্রাথমিকভাবে আমরা ভারত থেকে তিন কোটি ভ্যাকসিন নিয়েছি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকেও আমাদের ভ্যাকসিন দেওয়ার কথা রয়েছে। এই ভ্যাকসিন পেলে ২২ থেকে ৪০ বছর পর্যন্ত বয়সের মানুষের জন্য আমরা ভ্যাকসিন সরবরাহ করতে পারব।
কারখানা পরিদর্শনের সময় মন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন, ধামরাই আসনের সংসদ সদস্য বেনজীর আহমেদ, ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমানসহ ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালসের কর্মকর্তারা।