ঢাকা: যুক্তরাজ্যের আসন্ন মিনি-বাজেটে বড় নীতিগত পরিবর্তনের আভাস পাওয়া গেছে। এর প্রভাবে পাউন্ড স্টারলিং শক্তিশালী হচ্ছে। শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) সকালে পাউন্ড স্টারলিং প্রতি ডলারের বিপরীতে ১.১৩ মার্কিন ডলারের উপরে লেনদেন হয়েছে। অর্থাৎ, প্রতি এক পাউন্ডের বিপরীতে পাওয়া যাচ্ছে ১.১৩ মার্কিন ডলার। এদিন ব্রিটিশ অর্থমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রে আইএমএফ বৈঠক সংক্ষিপ্ত করে জরুরিভিত্তিতে ডাউনিং স্ট্রিটে ফিরেছেন।
এর আগে গত সেপ্টেম্বরে পাউন্ড রেকর্ড দর হারায়। গত ২৬ সেপ্টেম্বর এশিয়া ও অস্ট্রেলিয়ায় মার্কিন ডলারের বিপরীতে ব্রিটিশ পাউন্ডের দর একপর্যায়ে কমে ১ দশমিক ০৩৮২ ডলারে দাঁড়ায়। সেসময় ব্রিটেনের অর্থমন্ত্রী কোয়াসি কোয়ার্টেং ট্যাক্স কাটছাঁটের জন্য ৪৫ বিলিয়ন পাউন্ডের একটি প্যাকেজ ঘোষণা দিয়েছিলেন। তার এই ঘোষণার প্রভাবে দর হারায় পাউন্ড।
যদিও পরে ডাউনিং স্ট্রিটের তরফ থেকে বলা হয়, ট্যাক্স কাটছাঁটের নীতি আপাতত পরিহার করা হয়েছে। আসন্ন মিনি-বাজেটে এমন প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন ঘটতে পারে বলে মনে করে ট্রেডাররা ব্রিটিশ বন্ড ক্রয় করছেন। এতে বৃহস্পতিবার পাউন্ড কিছুটা শক্তি ফিরে পেয়েছে।
এছাড়া পাউন্ডের দর স্থিতিশীল রাখতে ব্যাংক অব ইংল্যান্ড গিল্ট নামে পরিচিত সরকারি বন্ড ক্রয় ক্রমাগত করছে। বন্ডের বিক্রি রোধেও ব্যবস্থা নিয়েছে ব্রিটিশ কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর ফলে পাউন্ডের মান বেড়েছে। তবে শুক্রবার ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের এই সহযোগিতা বন্ধ হওয়ার কথা রয়েছে।