1. hmgrobbani@yahoo.com : admin :
  2. news@soroborno.com : Md. Rabbani : Md. Rabbani
  3. sayefrahman7@gmail.com : Sayef Rahman : Sayef Rahman
রবিবার, ০৪ জুন ২০২৩, ১০:২৫ অপরাহ্ন

মিয়ানমারে সরকার-সেনাবাহিনী মুখোমুখি

Reporter Name
  • Update Time : শুক্রবার, ২৯ জানুয়ারী, ২০২১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

মিয়ানমারের সর্বশেষ সাধারণ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বেসামরিক সরকারের সঙ্গে সেনাবাহিনীর উত্তেজনা বাড়ছে। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে রাজধানী নেইপিডোতে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা কোনো ফলাফল ছাড়াই শেষ হয়েছে। খবর দ্য ইরাবতি।

বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে সেনাবাহিনীর প্রতিনিধিরা বলেছেন, নির্বাচন কমিশনের ওপর তাদের কোনো আস্থা নেই। তাই, ২০২০ সালের নভেম্বরের ৮ তারিখ অনুষ্ঠিত নির্বাচনের ফলাফল পুনর্গণনা করা এবং সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) অনুষ্ঠেয় পার্লামেন্টের প্রথম অধিবেশন পেছানোরও দাবি তুলেছেন তারা।

যদিও, স্টেট কাউন্সিলর এবং জনগণের ভটে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয় ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) নেতা অং সান সু চি সেনাবাহিনীর সকল দাবি নাকচ করে দিয়েছেন বলে জানিয়েছে দ্য ইরাবতি।

এর আগে, মিয়ানমারের জাতীয় নির্বাচনে বড় জয় পায় অং সান সু চির দল এনএলডি। পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জিন্য যেখানে ৩২২ আসন দরকার সেখানে সু চির দল জয় পেয়েছে ৩৪৬ আসনে।

২০১১ সালে অর্ধ শতাব্দীর সেনা শাসনের অবসান ঘটিয়ে গণতন্ত্রের পথে ফেরা মিয়ানমারে সেটি ছিল দ্বিতীয় জাতীয় নির্বাচন। ওই নির্বাচনে সেনা সমর্থিত বিরোধীদল ইউনিয়ন সলিডারিটি এন্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি (ইউএসডিপি) ভোটে প্রতারণার অভিযোগ তুলে নির্বাচনের ফলাফল মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানায়। তারা নতুন করে, ফের নির্বাচন আয়োজনের দাবি জানায়। তা না হলে, সেনাঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আবারও ক্ষমতা দখলের হুমকি দেয়। এ বিষয়ে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে ‘নির্বাচনে প্রতারণার’ অভিযোগ নিয়ে যে রাজনৈতিক সংকটের সৃষ্টি হয়েছে তা সমাধানের ব্যবস্থা না করলে ‘ব্যবস্থা গ্রহণের’ পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলে জানানো হয়।

ওই ব্যবস্থা কী অভ্যুত্থান হতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে এ সপ্তাহে সেনাবাহিনীর এক মুখপাত্র বলেন, সেই আশঙ্কাও উড়িয়ে দেয়া যায় না।

জান্তা আমলে তৈরি মিয়ানমারের সংবিধানে সেনাবাহিনীকে বেশ কিছু ক্ষমতা দেওয়া আছে। যেমন: পার্লামেন্টের ২৫ শতাংশ আসনের সদস্য সরাসরি সেনাবাহিনী থেকে আসবেন। এতদিন পর্যন্ত দেশটির বেসামরিক সরকার সেনাবাহিনীর সঙ্গে ক্ষমতা ভাগাভাগি করেই দেশ পরিচালনা করে আসছিল। নভেম্বরের নির্বাচন নিয়েই প্রথম দুই পক্ষ সরাসরি এতটা বিরোধে জড়িয়েছে।

মিয়ানমার সেনাবাহিনীর কমান্ডার ইন চিফ সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাইং সেনাসদস্যদের জন্য দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় বলেন, যদি সংবিধান মেনে চলা না হয় তবে তা বাতিল করাই উচিত। সেই সূত্রেই দেশটি সাংবিধানিক শূণ্যতা তৈরি হতে পারে বলে মনে করছেন অনেকেই।

সু চি এখন পর্যন্ত সেনাবাহিনীর সঙ্গে এ বিরোধ নিয়ে জনসম্মুখে কোনো কথা বলেননি।

মিয়ানমারের রাজনীতিতে সেনা হস্তক্ষেপ কমাতে এনএলডি সংবিধান সংশোধনের পরিকল্পনা করছে বলে জানান দলের এক মুখপাত্র।

তিনি টেলিফোনে বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে আরও বলেন, বিক্ষোভ হতে পারে এমন আশঙ্কায় রাজধানী নেইপিডোতে পুলিশ পাহারা বাড়ানো হয়েছে। তবে পুলিশ আন্দোলনকারীদের ওপর শক্তি প্রয়োগ করবে না।

এনএলডি আইনপ্রণেতা জিন মার অং বলেন, পুলিশ পার্লামেন্ট ভবন প্রাঙ্গনে পাহারা দিচ্ছে। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে তাদের সেখানে প্রয়োজন।

More News Of This Category
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি