কক্সবাজারের উখিয়ার পাশ্ববর্তী নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম-তুমব্রু সীমান্ত থেকে ফের গোলাগুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে।
শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরের পর থেকে মর্টার শেলের মতো ভারী অস্ত্রের গোলার শব্দে কেঁপে উঠেছে পুরো সীমান্ত এলাকা।
ওই এলাকার অধিবাসীরা বলেছেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে গত এক মাসের চেয়ে বেশি সময় ধরে গোলাগুলির ঘটনা ঘটছে। গত কয়েকদিনের আচরণে সীমান্ত এলাকায় থাকা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। কখন যেন এসে মিয়ানমারের গোলা এখানে পড়ে। ছেলে মেয়েরা রাতে ঘুমাতে গেলে ভয় পায়। সন্ধ্যার পর থেকে কেউ আর ঘর থেকে বের হয় না।
এদিকে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর একটি বিমান ফের আকাশসীমা লঙ্ঘন করেছে।
শুক্রবার বিকেল ৩টার দিকে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম এলাকার আওতাধীন কোনারপাড়া সীমান্ত পিলার ৩৪-৩৫-এর পাশে মিয়ানমার-বাংলাদেশের সীমানা লঙ্ঘন করে বিমানটি।
তবে এ বিষয়ে বিজিবি ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
স্থানীয়রা জানান, জুমার নামাজের পর মিয়ানমার সেনাবাহিনীর একটি বিমানকে ঘুমধুম এলাকার সীমান্ত পিলার ৩৪-৩৫-এর পাশে বাংলাদেশের সীমানা লঙ্ঘন করতে দেখা যায়।
পাশাপাশি, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে থেমে থেমে গোলাগুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে। ঘুমধুম সীমান্ত এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে চরম উদ্বেগ -উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে।
তুমব্রু বাসিন্দা মাহামুদুল হাসান বলেন, অন্যান্য দিনের তুলনায় আজ একটু বেশি ভয়ে আছে মানুষ। কখন কী হয়, বলা যায় না।
ওই এলাকার আরেক বাসিন্দা বোরহান আজিজ বলেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে ব্যাপক গোলাগুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে। জুমার নামাজের পর মিয়ানমার সেনাবাহিনীর একটি বিমানকে বাংলাদেশের সীমানা লঙ্ঘন করতে দেখা গেছে।