সিলেট নগরীর বন্দরবাজার থেকে চৌহাট্টা পর্যন্ত সড়কটি যানজটমুক্ত করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে সিটি করপোরেশন (সিসিক) ও সিলেট মহানগর পুলিশ (এসএমপি)। তারই ধারাবাহিকতায় নগরীর ভ্রাম্যমাণ হকারদের স্থায়ী ঠিকানা করে দিতে বুধবার (১৬ ডিসেম্বর) থেকে কাজ শুরু করে সিলেট সিটি করপোরেশন। সিলেট মহানগর পুলিশের সহায়তায় নগর ভবনের পেছনের (লালদিঘীর পারস্থ) খালি মাঠে এক হাজার ৭০ হকারকে পুনর্বাসন করা হয়।
প্রতিটি দোকানের দৈর্ঘ্য ও প্রস্ত ৬ ফুট বাই ৭ ফুট। কাপড়, জুতা, কসমেটিক্স, ফল, সবজি, মাছ, পান, জুতা সেলাইসহ বিভিন্ন প্রকারের দোকান আলাদা সারিবদ্ধভাবে তৈরী করা হয়েছে।
হকারকারা জানান, সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে এসব ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাশাপাশি বৈদ্যুতিক সংযোগ দিয়ে আলোর ব্যবস্থা এবং ১০টি স্যানিটারী শৌচাগার নির্মাণ করা হয়েছে।
ইতোমধ্যে বন্দরবাজার-চৌহাট্টা সড়ক সম্প্রসারণ ও সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ করছে সিলেট সিটি করপোরেশন। এই সড়ককে একটি ‘মডেল সড়ক’-এ পরিণত করার পরিকল্পনা করছে সিসিক। যার ফলে হকারদের উচ্ছেদ করে সড়কের বিভিন্ন স্থানে ‘হকারমুক্ত এলাকা’ সাইনবোর্ড টানিয়েছে সিসিক।
এছাড়া এ সড়কে গাড়ি পার্কিং-কারীদের বিরুদ্ধে জোর অভিযানে নেমেছে সিসিক ও এসএমপির ট্রাফিক বিভাগ।
বৃহস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর) বন্দরবাজার থেকে চৌহাট্টা পর্যন্ত সড়কের বিভিন্ন স্থানে পার্কিং করে রাখা লোকজনের বিভিন্ন ধরনের গাড়ি ও মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়। পাশাপাশি গাড়ি ও মোটরসাইকেল মালিকদের মামলা ও জরিমানার আওতায় নিয়ে আসা হয়।
বেলা ২টায় শুরু হওয়া প্রায় দুই ঘণ্টা ব্যাপী এই অভিযানে বেশ কয়েকটি গাড়ির মালিকের বিরুদ্ধে মামলা করা হয় এবং মোটরসাইকেল, প্রাইভেট কার ও সিএনজি অটোরিকশা জব্দ করে সিটি করপোরেশন কার্যালয়ের সামনে নিয়ে রাখা হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী এসএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) ফয়সাল মাহমুদ।
অভিযানকালে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, ফুটপাত পথচারীদের জন্য ও সড়ক যানবাহনের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। সেখানে কাউকে বসতে দেওয়া হবে না। আমরা বিভিন্ন সময় সড়ক ও ফুটপাত দখলমুক্ত করার অভিযান চালিয়েছি। হকারদের দাবির প্রেক্ষিতে ও মানবিক কারণে আমরা তাদের খোলা মাঠে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করেছি। আশা করছি এরপর থেকে তারা আর সড়ক ও ফুটপাতে ব্যবসা নিয়ে বসবেন না।
মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, আমরা বারবার নোটিশ জারির পরও অনেক মার্কেট কর্তৃপক্ষ নিজস্ব পার্কিংয়ের জায়গা করেনি। তাই সিটি করপোরেশন ও মহানগর পুলিশ এ অভিযানে নেমেছে। মামলা করে, জরিমানা করে রাস্তায় গাড়ি রাখা লোকজনকে শাস্তির আওতায় আনা হচ্ছে। আরিফ বলেন, আমরা এতো কষ্ট করে নানা উদ্যোগ নিয়ে নগরবাসীর স্বস্তির স্বার্থে এ সড়কটি যানজটমুক্ত রাখার চেষ্টা করছি।