আন্তর্জাতিক ডেস্ক
পূর্ব আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিকে বিদেশি শ্রমিকসহ ১৮০ জন তিন দিন ধরে একটি হোটেলে জিম্মি করে রেখেছে সন্ত্রাসী সংগঠন আইএসআইএল’র যোদ্ধারা। শুক্রবার (২৬ মার্চ) দেশটির আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী ও শ্রমিকরা এই তথ্য জানিয়েছে। খবর আলজাজিরা।
প্রত্যাক্ষদর্শীরা ও মানবাধিকার গ্রুপগুলো জানিয়েছেন, এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন ব্যক্তি নিহত হয়েছে। দেশটিতে ক্যাবো দেলগাদো প্রদেশের একটি তরল প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) সাইটের কাছে পলমাতে হামলার পরে এই ঘটনা ঘটছে।
ফ্রান্সের অন্যতম সর্ববৃহৎ তেল কোম্পানি টোটাল সেখানে ২০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে। যা আফ্রিকার সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ। এক্সনমোবিল’সহ ছয়টি আন্তর্জাতিক সংস্থা এই অঞ্চলে জড়িত রয়েছে।
এর আগে, গত বুধবার বিকালে আইএসআইএল’র যোদ্ধারা দেশটির দক্ষিণে অবস্থিত উপকূলীয় শহরে অভিযান চালায়। আর আতঙ্কিত স্থানীয় বাসিন্দাদের জঙ্গলে পালিয়ে যেতে বাধ্য করে। আর এলএনজি’র কর্মী ও সরকারি কর্মকর্তারা অমরুলা পলমা হোটেল আশ্রয় নেয়।
এলএনজি’র কর্মী আফুঙ্গিকে শুক্রবার সন্ধ্যায় নিরাপদ স্থানে নেওয়ার পর তিনি ফোনে জানান, পুরো শহরটি ধ্বংস হয়ে গেছে এবং অনেক মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। তবে হতাহতরা কোন দেশের নাগরিক সে বিষয়ে তিনি বিস্তারিত কিছু জানাতে পারেনি।
নাম প্রকাশ অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি জানান, স্থানীয়রা জঙ্গলে পালিয়ে গেছে। আর বিদেশিরাসহ এলএনজি’র শ্রমিকরা হোটেল আমারুলায় আশ্রয় নিয়েছে। সেখানে তারা উদ্ধারের জন্য অপেক্ষা করছে।
টোটাল’র এক কর্মী জানিয়েছেন, শুক্রবার সকালে হোটেলের উপর দিয়ে হেলিকাপ্টার উড়তে দেখেছে। তারা আটকে থাকা প্রায় ১৮০ জনকে উদ্ধারের জন্য একটি পথ খুঁজে বের করার চেষ্টা করে।
মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ জানিয়েছে, হামলাকারীরা স্থানীয়ভাবে আল-শাবাব নামে পরিচিত একটি গ্রুপের সঙ্গে যুক্ত। তবে তাদের সঙ্গে সোমালিয়ার সশস্ত্র গোষ্ঠীর সঙ্গে প্রত্যক্ষ কোনো যোগাযোগ নেই।
এদিকে গত বৃহস্পতিবার মোজাম্বিক সরকার এই তথ্য নিশ্চিত করে জানিয়েছে, বৃহৎ গ্যাস প্রকল্পের শহর থেকে হামলাকারীদের উচ্ছেদ করতে অভিযান শুরু করেছে দেশটির সেনাবাহিনী।