স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
ঢাকা: ফল প্রকাশের মধ্য দিয়ে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার্থীদের মহামারিকালীন দীর্ঘ অনিশ্চয়তার অবসান হয়েছে। ২০২০ সালের এইচএসসি পরীক্ষাটি আয়োজন করতে না পারায় পরীক্ষার জন্য রেজিস্ট্রেশন করা সব শিক্ষার্থীকেই দেওয়া হয়েছে অটোপাস। শনিবার (৩০ জানুয়ারি) ফল প্রকাশের পর এর প্রক্রিয়া নিয়ে নানা মহলে চলছে নানা প্রশ্ন! এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি যে প্রশ্নটি মানুষের মাঝে ঘুরপাক খাচ্ছে সেটি হলো— ‘এই পরীক্ষার ফল মূল্যায়ন কীভাবে হলো?’
শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ফল মূল্যায়নে তারা আগেই কিছু মাণদণ্ড তৈরি করেছিল। যার ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে এই ফলাফল। মোটা দাগে বললে, এসএসসির ৭৫ শতাংশ নম্বর এবং জেএসসির ২৫ শতাংশ নম্বরে হয়েছে ফল মূল্যায়ন।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা থেকে বাংলা, ইংরেজি এবং তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিষয়ের ২৫ শতাংশ নম্বর বিবেচনায় নেওয়া হয়। এদের এসএসসি ও সমমানের বাংলা, ইংরেজি ও আইসিটি বিষয়ের নম্বরের ৭৫ শতাংশ নম্বর বিবেচনা করে এইচএসসিতে বাংলা, ইংরেজি ও আইসিটি বিষয়ের গ্রেডিং করা হয়েছে। এছাড়াও বোর্ড থেকে দেওয়া ফলাফলের সার-সংক্ষেপেও এই বিষয়টিই উল্লেখ করা হয়েছে। আর পুরো কাজটিই করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে নির্ধারণ করে দেওয়া একটি মূল্যায়ন কমিটি।
সূত্র আরও জানায়, বিভাগ পরিবর্তন করা শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষার গণিত এবং বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় বিষয়ের প্রাপ্ত নম্বরের ২৫ শতাংশ এবং এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার বিভাগভিত্তিক তিনটি বিষয়ের ৭৫ শতাংশ নম্বর বিবেচনা করে এইচএসসির মানবিক বিভাগের তিনটি বিষয়ের নম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে।
এছাড়া ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে জেএসসি-ডেডিসি পরীক্ষার গণিত এবং বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় বিষয়ে প্রাপ্ত গড় নম্বরের ২৫ শতাংশ এবং এসএসসি বা সমমান পরীক্ষার গ্রুপভিত্তিক তিনটি সমগোত্রীয় বিষয়ের ৭৫ শতাংশ নম্বর বিবেচনা করে এইচএসসির ব্যবসায় শিক্ষায় বিভাগের তিনটি সমগোত্রীয় বিষয়ের নম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে।
বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষার গণিত ও বিজ্ঞান বিষয়ে প্রাপ্ত নম্বরের ২৫ শতাংশ এবং এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন ও উচ্চতর গণিত ও জীববিজ্ঞান বিষয়ের ৭৫ শতাংশ নম্বর বিবেচনা করে এইচএসসির পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন ও উচ্চতর গণিত ও জীববিজ্ঞান বিষয়ের নম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে।
এই তিন বিভাগে প্রয়োগ করা নিয়ম অনুসরণ করেই মান উন্নয়নের শিক্ষার্থী ও অনিয়মিত শিক্ষার্থীদের ফলাফল তৈরি করা হয়েছে।