আফগানিস্তানের মানুষকে তালেবান হুমকির মধ্যে ফেলে দেশে ছাড়ার পর প্রেসিডেন্ট আশরাফ গানি আত্মপক্ষ সমর্থন করে বলেছেন, রক্তের বন্যার এড়াতেই তিনি দেশ ছেড়েছেন। এছাড়া তার হাতে আর কোনো বিকল্প ছিল না।
তালেবান বাহিনী মাত্র ১০ দিনের মধ্যে আফগানিস্তানের বেশিরভাগ এলাকা দখল করে রোববার সকালে প্রায় বিনা বাধায় রাজধানী কাবুলে ঢুকে পড়ে।
রাতে এক ফেইসবুক পোস্টে তিনি বলেন, ‘সংঘাত এড়ানোর জন্যই’ তিনি কাবুল ছেড়েছেন, কারণ লাখো মানুষ সেখানে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
রয়টার্স জানিয়েছে, দেশ ছাড়ার পর আফগানিস্তানের পরিস্থিতি নিয়ে এটাই তার প্রথম বক্তব্য। তবে তিনি কোথায় রয়েছেন, তা জানা যায়নি। তবে তার উজবেকিস্তানে আশ্রয় নেওয়ার খবরও পাওয়া যাচ্ছে।
তালেবান যোদ্ধারা কাবুলের সব প্রবেশ পথ নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আফগান সরকারের সঙ্গে দরকষাকষি শুরু করার পর আফগানিস্তানের ভারপ্রাপ্ত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল সাত্তার মিরজাকওয়াল বলেছিলেন, একটি অন্তর্র্বতী সরকারের কাছে ‘শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তরের’ প্রক্রিয়া শুরু করেছেন তারা।
কিন্তু পরে প্রেসিডেন্ট গানির দেশত্যাগের খবর এলে তালেবান কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, অন্তর্র্বতীকালীন কোনো সরকার আফগানিস্তানে হবে না। তালেবান সরাসরি দেশের ক্ষমতা বুঝে নেবে।