যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার স্মৃতিচারণায় এলেন ভারতের গান্ধী পরিবারের উত্তরসূরি রাহুল গান্ধী। তবে সেটা খুব একটা সুখকর না রাহুলের জন্যে। বরং কিছুটা হলেও অস্বস্তিতে পড়েছেন সাবেক কংগ্রেস এই সংসদ সদস্য।
ওবামা তার লেখা স্মৃতিচারণমূলক বই ‘অ্যা প্রমিসড ল্যান্ড’-এ রাহুলকে ‘অনাগ্রহী’ ও ‘অপটু’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। যদিও সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের প্রশংসাই করেছেন ওবামা।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন থেকে ‘প্রেসিডেন্ট ইলেক্ট’ জো বাইডেনের মতো নেতারা স্থান পেয়েছেন তার বইয়ে।
তবে নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন দু’বার ভারতে এলেও ওবামার বইয়ে তিনি জায়গা পাননি।
দেশটির আনন্দবাজার পত্রিকার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শেষ বার রাহুল গান্ধীর সঙ্গে যখন সাক্ষাৎ হয়, ওবামা তখন আর প্রেসিডেন্ট নন। সস্ত্রীক ভারতে এসেছিলেন ২০১৭ সালে। টানা দু’বার প্রেসিডেন্ট থাকার পর তখন তিনি আমেরিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট। ওই সময় রাহুলের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ আলাপচারিতা সেরেছিলেন ওবামা। রাহুল গান্ধীও সেই কথোপকথন নিয়ে টুইট করে লিখেছিলেন, ‘ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে বারাক ওবামার সঙ্গে’। ওবামার সঙ্গে সেই বৈঠকে যে তিনি আপ্লুত, সে কথাও রাহুলের টুইট থেকে বোঝা গিয়েছিল।
কিন্তু ‘অ্যা প্রমিসড ল্যান্ড’-এ রাহুল সম্পর্কে যা লিখেছেন ওবামা, তা রাহুলকে অস্বস্তিতে ফেলার পক্ষে যথেষ্ট। রাহুল সম্পর্কে আমেরিকার সাবেক প্রেসিডেন্টের উপলব্ধি, ‘‘রাহুল এমন একজন অনাগ্রহী ও অপটু ছাত্র, যিনি সমস্ত ক্লাসওয়ার্ক করে শিক্ষককে প্রভাবিত করার চেষ্টা করেন। কিন্তু হয় আত্মবিশ্বাসের অভাব, নয়তো দক্ষতা অর্জনের মতো প্যাশন নেই।’’
বারাক ওবামা আমেরিকার প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন মনমোহন সিংহ প্রধানমন্ত্রী ছিলেন প্রায় ৬ বছর। তার মধ্যে ওবামা ভারতে এসেছেন এক বার ২০১০ সালে। মনমোহন অবশ্য সেই সময় একাধিক বার আমেরিকায় গিয়েছেন। সেই মনমোহন সম্পর্কে ওবামা লিখেছেন, আমেরিকার প্রতিরক্ষা সচিব বব গেটসের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী (প্রাক্তন) মনমোহন সিংহের খুব ভাল সম্পর্ক ছিল।
তার দু’বারের প্রেসিডেন্ট থাকার সময় ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন জো বাইডেন। তার সম্পর্কে ওবামার অভিমত, ‘‘বাইডেন ভদ্র, নম্র ও সৎ মানুষ। তবে উনি যদি মনে করেন যে তার প্রাপ্য কৃতিত্ব দেওয়া হয়নি, তা হলে তিনি বিরক্তও হতে পারেন।’’
বয়সে ওবামা ছিলেন বাইডেনের চেয়ে ছোট। সেই নিয়ে রসিকতা করে তিনি বলেছেন, ‘‘বয়সে ছোট বসের সঙ্গে কাজ করতে গেলে এমন হতেই পারে।’’
পুতিনকে ‘কড়া বস’ হিসেবে উল্লেখ করে তার শারীরিক সক্ষমতার প্রশংসা করেছেন ওবামা।