মিয়ানমারের সেনাপ্রধান সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাইং বলেছেন, ‘তার সরকার মিয়ানমারের চলমান বিদেশনীতিতে কোনো পরিবর্তন আনবে না।’
তিনি বলেছেন, ‘দ্বিপাক্ষিক চুক্তি অনুযায়ী যেভাবে গৃহহীন লোকজনকে বাংলাদেশ থেকে ফেরত নেওয়ার কথা ছিল সেটা চলতে থাকবে।’
সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের পর সোমবার টেলিভিশনে দেওয়া প্রথম ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন। খবর বিবিসি বাংলার
মিয়ানমার সেনাপ্রধান জানান, রোহিঙ্গাদের ফেরত নেওয়ার ব্যাপারে যে চুক্তি আছে তাতেও কোনো প্রভাব পড়বে না। যদিও ‘রোহিঙ্গা’ শব্দটি তিনি তার ভাষণে উল্লেখ করেননি।
রোহিঙ্গা পুনর্বাসন ইস্যুতে তিনি বলেন, ‘মিয়ানমারের অভ্যন্তরে অস্থায়ী শিবিরে যেসব বাস্তুচ্যুত লোকজন রয়েছে তাদের পুনর্বাসনের কার্যক্রমও অব্যাহত থাকবে।’
বাংলাদেশের সাথে চুক্তি আলোচনার মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, যদি তা দেশের স্বার্থের কোনো ক্ষতি না করে।
বাস্তুচ্যুত ব্যক্তিদের মধ্যে যারা গ্রহণযোগ্য, ১৯৮২ সালের নাগরিকত্ব অনুযায়ী তাদের ফেরার অনুমোদন দেওয়া হবে।
এই ভাষণের পুরো কপি ছাপা হয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম দ্য গ্লোবাল নিউ লাইট অব মিয়ানমারে। ভাষণের বেশিরভাগ জুড়েই অবশ্য নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করার পক্ষে সাফাই দিয়েছেন জেনারেল অং হ্লাইং।