1. hmgrobbani@yahoo.com : admin :
  2. news@soroborno.com : Md. Rabbani : Md. Rabbani
  3. sayefrahman7@gmail.com : Sayef Rahman : Sayef Rahman
সোমবার, ২০ মার্চ ২০২৩, ১০:১৩ অপরাহ্ন

লক্ষিপাশা কমিউনিটি ক্লিনিকের হালচাল,সীমাহীন অনিয়ম ও দূর্নীতি,মানুষের ভোগান্তি চরমে!

Reporter Name
  • Update Time : শনিবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২১

ধারাবাহিক চলবে…..(পর্ব-১)
হেলাল মুর্শেদ :: সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার আওতাধীন ১ নং মোল্লারগাও ইউনিয়নের লক্ষিপাশা কমিউনিটি ক্লিনিক।অত্র বৃহৎ এলাকার একমাত্র কমিউনিটি ক্লিনিক।

দীর্ঘদিন থেকে ক্লিনিকটি প্রায়দিন বন্ধ থাকে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

ক্লিনিকের দায়িত্বে থাকা সিএইচসিপি দেলোয়ার হুসেন,
সিএইচসিপি দেলোয়ার এর সপ্তাহে ছয়দিন ডিউটির কথা থাকলেও তিনি মাঝে মধ্যে অফিসে আসেন এমন অভিযোগ স্থানীয়দের।

এদিকে সেবা গ্রহণ করতে না পেরে ভোগান্তিতে হাজারো মানুষ। এই হচ্ছে লক্ষিপাশা কমিউনিটি ক্লিনিকের অবস্থা।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়,ক্লিনিকটি তালাবদ্দ থাকে প্রায় সময়ে অফিস টাইম। মানুষ এসে ফিরে ফিরে যান।

স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়,এই ক্লিনিকটি প্রায় দিন বন্ধ থাকে।যে কারণে প্রতিদিন মানুষ এসে ফিরে যাচ্ছেন।কি কারণে বন্ধ থাকে তাও তারা জানেন না।এজন্য প্রতিদিন আসছেন আর ফিরে যাচ্ছেন।সেবা গ্রহণ করতে না পেরে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে হাজারো মানুষকে।

মরিয়ম বেগম নামে বয়োবৃদ্ধ একজন মহিলা বলেন,‘গরীব মানুষ আমরা। তাপ-সর্দি হলে এখানে পাঁচ টাকা দিয়ে ঔষধ নেই। কয়েকদিন থেকে বন্ধ থাকায় ঔষধ নিতে পারতেছি না।’

ক্ষোভ প্রকাশ করে লালন আহমদ নামে এক মুরব্বি বলেন, ‘কনিউনিটি ক্লিনিক এভাবে যদি বন্ধ থাকে তাহলে মানুষ কি ধরণের সেবা ভোগ করবে। প্রতিদিন অনেক মানুষ আসেন। বিশেষ করে বৃদ্ধ মহিলারা এসে কষ্ট করে ফিরে যান।’

স্থানীয় সাজু আহমদ বলেন, ‘গত ৪-৫ দিন থেকে ঘুরতেছি ঔষধদের জন্য। প্রতিদিন গিয়ে তালাবদ্ধ দেখতে পাই। সকাল হলে এলাকার মহিলারা এসে ফিরে যান।’সিএইচসিপি দেলোয়ার এর কাছে প্রেসার মাপার কথা রিকুয়েষ্ট করলে তিনি পুরুষদের প্রেসার মাপেন না কিন্তু মহিলাদের প্রেসার মাপার অজুহাতে তিনি মেয়েলোকদের শারীরিক যৌনপীড়ন করেন।

স্হানীয় জুনেদ মিয়া জানান,আমরা জানি সিএইচসিপি প্রতিদিন কমিউনিটি ক্লিনিকে আসতে হয় কিন্তু দেলোয়ার সাহেব সপ্তাহে তিনদিন আসেন,কখনওবা চারদিন।তিনি ক্লিনিকে আসেন সকাল এগারোটা কিংবা বারোটার দিকে তাও আবার তিনি জোহরের পর পরই চলে যান।এ নিয়ে আমরা ভূক্তভোগী জনসাধারণ বড় বিপাকে আছি এখানকার ক্লিনিকটা নিয়ে।এই ক্লিনিকের অবস্থা খুবই নাজুক,আমরা ঠিকমতো ঔষধ পাইনা ফিরিয়ে দেওয়া হয়।দেলোয়ার সাহেবের আচার আচরণও খুব খারাপ,মানুষের সাথে তিনি রুঢ় আচরণ করেন।অথচ সকাল নয়টা থেকে তিনটা পর্যন্ত অফিস করার কথা থাকলেও তিনি কোনদিনও পূর্ণাঙ্গ অফিস করেন নাই।

এলাকার বাসিন্দা রুমেল বলেন-এখানকার সিএইচসিপি দেলোয়ার একজন নারীলোভী লোক,তিনি মেয়ে মানুষ ও মহিলাদের সাথে যৌনপীড়ন করেন বলে অনেকেই এই বিষয়ে মুখ খুলছেন।এ নিয়ে এলাকায় কিছু ঝামেলাও হয়েছে।

লক্ষিপাশা কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি দেলোয়ার হুসেন এর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন -আমি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষ ছুটি নেই।ছুটি নেওয়া একমাত্র আমার নিজস্ব ব্যাপার আপনারা মাথা ঘামান কেন?আমি এই ক্লিনিক থেকে বদলীর জন্য আমার আদেশ চলে আসছে।এখন কাগজপত্র গুছাচ্ছি,খুব শীগ্রই চলে যাবো।এখন আমার উপর অভিযোগ এনে লাভ নেই।এগুলো আগে করতে পারতেন।আমার ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে আপনারা বাড়াবাড়ি করবেন না বলে দাপিয়ে কথাগুলো বলেন তিনি।

এই বিষয়ে সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী বলেন-এই বিষয়গুলো আমরা অবগত রয়েছি,আমরা এ নিয়ে ব্যবস্হা নিচ্ছি তা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

তবে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. মঈনুল আহসান এর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।

সিলেটের সিভিল সার্জন ডাক্তার প্রেমানন্দ মন্ডল বলেন-লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্হা নিব,আমি কমপ্লইন শুনেছি তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্হা নেবো।

More News Of This Category
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি