এখনো লেপ-কম্বল নেয়ার মতো শীত না পড়লেও আর বেশি দিন কিন্তু বাকি নেই। যখন লেপ-কম্বল ব্যবহার করা শুরু করবেন তখন এর সঠিক যত্ন নেয়া জরুরি। তবে মাঝে মাঝে নিয়মিত ধুলো ঝাড়া কিংবা কভার ধোয়া প্রয়োজন। নইলে এ থেকেই ত্বকে সংক্রমণ হতে পারে। ঠিকমতো যত্ন না নিলে কিংবা রক্ষণাবেক্ষণ না করলে শীতের আরামের লেপ কম্বলই আপনার অস্বস্তির কারণ হয়ে উঠতে পারে। কী ধরনের ব্যবস্থা নিলে আপনার শীতের লেপ কিংবা কম্বল সুরক্ষিত এবং সুন্দর পরিপাটি থাকবে তা নিয়েই কিছু টিপস জেনে নিন আজ।
১. শীতে লেপ কিংবা কম্বল ব্যবহারের আগে কিংবা পরে দু’বারই ভালোভাবে রোদে শুকিয়ে নিয়ে রাখতে হবে। বহুদিন তুলে রাখার ফলে বিভিন্ন রকমের জীবাণু এবং বাজে গন্ধ হয় লেপ, কম্বলে। রোদে ভালোভাবে শুকিয়ে নিলে এসব অনুষঙ্গ থেকে ক্ষতিকর জীবাণুগুলো অনেকাংশেই সরে যায় এবং বাজে গন্ধও থাকে না।
২. মোটা কাঁথা, লেপের কভার কিংবা হালকা কম্বল চাইলে বাড়িতেই ধুয়ে নিতে পারেন। তবে এর আগে অন্তত ত্রিশ মিনিট ভালোভাবে ডিটারজেন্ট মেশানো গরম পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে।
৩. দামি এবং কোমল ধরনের কম্বলগুলো লন্ড্রিতে ড্রাইওয়াশ করিয়ে নেওয়াটাই সবচেয়ে ভালো হবে।
৪. কেউ যদি বাড়িতে কম্বল ধুতে চান, সেক্ষেত্রে শ্যাম্পু ব্যবহার করতে হবে। শ্যাম্পুতে ১০ মিনিট ভিজিয়ে রেখে সঙ্গে সঙ্গে হালকা হাতে ধুয়ে ফেলতে হবে। এরপর পানি ঝরিয়ে ছায়াযুক্ত স্থানে বাতাসে শুকাতে হবে।
৫. ব্যবহারের সময় কম্বল কিংবা লেপে নানাভাবে ধুলোবালি প্রবেশ করে। যা অ্যালার্জিসহ অন্য কোন সমস্যা ডেকে আনতে পারে। সেজন্য মাঝেমধ্যেই ব্রাশ দিয়ে লেপ ও কম্বলের ধুলোবালি ঝেড়ে নিতে পারেন। এতে করে সবাই অ্যালার্জিমুক্ত থাকতে পারবেন।
৬. শিমুল তুলার লেপ কখনই ধোয়া বা ড্রাইওয়াশ করা যায় না। তাই লেপ শুধু রোদে দিয়েই ব্যবহার করতে হবে। লেপের কভার মাঝে মাঝে ধুয়ে দিতে হবে। তাহলেই আপনার লেপ পরিষ্কার থাকবে।
৭. লেপ কিংবা কম্বল তুলে রাখার সময় কয়েকটি ন্যাপথেলিন ব্যবহার করতে পারেন। এতে করে ভ্যাপসা গন্ধ ছড়াবে না এবং এসব জিনিস থাকবে পোকামাকড়মুক্ত।
৮. মাঝেমধ্যে লেপের ভাঁজ পরিবর্তন করে, উল্টেপাল্টে রাখতে পারেন। এ ছাড়া সম্ভব হলে লেপ রোল করে নিয়ে কোনো প্লাস্টিকে মুড়িয়ে রাখলেও ভালো থাকবে।