সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
ঢাকা: দেশের কোথাও ১৪৪২ হিজরির শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। ফলে আগামী পরশু শুক্রবার (১৪ মে) সারাদেশে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। আর এর মধ্য দিয়ে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১৩ মে) শেষ হচ্ছে মুসলিমদের একমাসের সিয়াম সাধনা। করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির কারণে মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় এই উৎসবটি যথাসম্ভব ঘরে বসেই উদযাপনের নির্দেশনা দিয়েছে সরকার।
বুধবার (১২ মে) সন্ধ্যায় ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মোকাররম সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ও জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভাপতি মো. ফরিদুল হক খান সভায় সভাপতিত্ব করেন।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সহকারী জনসংযোগ কর্মকর্তা শায়লা শারমিনের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এর আগে, মঙ্গলবার (১২ মে) চাঁদ না যাওয়ায় বৃহস্পতিবার (১৩ মে) থেকে ঈদুল ফিতর উদযাপনের ঘোষণা দিয়েছে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো। সাধারণত সৌদি আরবে যেদিন চাঁদ দেখা যায়, বাংলাদেশে এর পরদিনই দেখা যায় চাঁদ। সেই বৃহস্পতিবার সৌদি আরবে ঈদ উদযাপনের কথা থাকায় শুক্রবার ঈদ উদযাপনের একধরনের প্রস্তুতি ছিল দেশবাসীর।
এদিকে, সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে দেশের বেশকিছু জেলাতেই আগামীকাল বৃহস্পতিবার ঈদুল ফিতর পালন করা হবে। তবে এরই মধ্যে আজ বুধবারই চাঁদপুরের সাদ্রা দরবার শরিফের অনুসারীরা ঈদুল ফিতর উদযাপন করছে।
করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতির কারণে এ বছর জাতীয় ঈদগাহে ঈদের কোনো জামাত হবে না। ইসলামিক ফাউন্ডেশন জানিয়েছে, জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ঈদের পাঁচটি জামাত হবে। ঈদের প্রথম জামাত হবে সকাল ৭টায়, দ্বিতীয় জামাত হবে সকাল ৮টায়। এছাড়া সকাল ৯টায় তৃতীয় জামাত, ১০টায় চতুর্থ জামাত ও সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে পঞ্চম ও শেষ জামাত হবে বায়তুল মোকাররমে।