ছোট পর্দা হোক আর বড় পর্দা অথবা গান রেকডিং এর রুম চরিত্রই যাই হোক না কেনো পানির মত সেই চরিত্রে মিশে যেয়ে দর্শকের মন জয় করারা অসাধারণ ক্ষমতা নিয়ে আজকের এই দিনে পৃথিবীতে এসেছেন এই অভিনেতা। তার নাম চঞ্চল চৌধুরী। একজন অভিনেতা হিসেবে তখনই তিনি মঞ্চ, টেলিভিশন, বড় পর্দা যেখানেই যান না কেনো জাদুবলে ধরে রাখেন সবাইকে। তিনি নিজের অভিনয় দক্ষতার প্রমাণ দিয়েছেন হাজার বার। শুধু তাই নয়, চঞ্চল তার কণ্ঠে গান তুলেও শ্রোতাদের মুগ্ধ করেছেন অনেক বার। ১৯৭৪ সালের ১ জুন তিনি জন্মগ্রহণ করেন। শুভ জন্মদিন প্রিয় অভিনেতা।
পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার কামারহাট গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন চঞ্চল। সেখানেই বেড়ে উঠেন তিনি। রাজবাড়ি সরকারি কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক শেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চারুকলায় ভর্তি হন। ছোটবেলা থেকেই তার গানবাজনা, আবৃত্তি আর নাটকের প্রতি টান ছিল। পরে মঞ্চনাটকের প্রতি আগ্রহ তৈরি হয়।
১৯৯৬ সালে মামুনুর রশীদের আরণ্যক নাট্যদলের সঙ্গে যুক্ত হন চঞ্চল। এর মাধ্যমে অভিনয় জীবনের শুরু। তার অভিনীত প্রথম মঞ্চনাটক আরণ্যক নাট্যদলের ‘কালো দৈত্য’। পরবর্তীতে এই নাট্যদলের ‘সংক্রান্তি’, ‘রাঢ়াঙ’, ‘শত্রুগণ’সহ অনেক নাটকে কাজ করেন।
২০০০ সালে ফরিদুর রহমান পরিচালিত ‘গ্রাস’ নাটকের মাধ্যমে টেলিভিশন নাটকে পা রাখেন তিনি। অল্প সময়ের মধ্যে দক্ষ অভিনেতা হিসেবে সুনাম কুড়ান তিনি। মোস্তফা সরওয়ার ফারুকীর ‘তাল পাতার সেপাই’ নাটক দিয়ে দর্শকের কাছে পরিচিত হয়ে ওঠেন চঞ্চল।
২০০৬ সালে তৌকির আহমেদ পরিচালিত ‘রূপকথার গল্প’ সিনেমার মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিষেক ঘটে চঞ্চলের। ২০০৯ সালে গিয়াস উদ্দিন সেলিম পরিচালিত ‘মনপুরা’ সিনেমায় অভিনয় করেন। এই সিনেমায় অভিনয় করে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান তিনি। পরের বছর গৌতম ঘোষ পরিচালিত বাংলাদেশ-ভারত যৌথ প্রযোজনার ‘মনের মানুষ’ সিনেমায় অভিনয় করে প্রশংসা কুড়ান তিনি।
২০১৬ সালে ‘আয়নাবাজি’ সিনেমায় শাফায়েত করিম আয়না চরিত্রে অভিনয়ে করে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হিসেবে দ্বিতীয়বারের মতো জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ঘরে তোলেন চঞ্চল। এ অভিনেতার অন্যতম সিনেমাগুলোর মধ্যে ‘টেলিভিশন’ ও ‘দেবী’ অন্যতম।