শৈত্য প্রবাহ নেই, তবুও হাড় কাঁপানো শীত

শৈত্যপ্রবাহ বিরাজ না করলেও দেশব্যাপী বইছে হাড় কাঁপানো শীত। গত বুধবার দেশের কয়েকটি স্থানে বৃষ্টি হওয়ায় এতে নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে। পাশাপাশি বেড়েছে কুয়াশা।

দেশের অধিকাংশ এলাকাগুলোতেই দেখা যাচ্ছে দিনের বেলা হালকা বা মাঝরি কুয়াশা থাকলেও সন্ধ্যায় এর ঘনত্ব আরও বেড়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে দিনের বেলায়ও ঘন কুয়াশার আচ্ছন্ন করে আছে। ফলে অদূরের মানুষজন, বস্তু বা যানবাহন দেখা যাচ্ছে না।

এদিকে দুর্ঘটনা এড়াতে ঢাকার বাইরে দিনেও হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলা করছে নৌযান। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলাপে এসব তথ্য জানা গেছে।

আবহাওয়াবিদদের মতে, সাধারণত তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে নামলে এবং ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে তাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বলে।

এছাড়া ৬ থেকে ৮ ডিগ্রিতে নেমে এলে তা মাঝারি আকারের এবং এর নিচে নামলে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ। বুধবার দেশে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল সীতাকুণ্ডে ১১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সেই হিসাবে দেশে শৈত্যপ্রবাহ চলছে না। তাহলে এ হাড় কাঁপানো শীত কেন?

এ প্রশ্নের উত্তরে আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, চার কারণে এমনটি ঘটছে। এগুলো হচ্ছে, মেঘাচ্ছন্ন আকাশ, সূর্যের কম কিরণকাল, কুয়াশার প্রকোপ এবং সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার কম পার্থক্য। বৃষ্টিপাত এ পরিস্থিতিকে আরও প্রভাবিত করেছে।

তিনি আরও বলেন, লঘুচাপ পরিস্থিতির কারণে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন। মেঘে ঢাকা আকাশ সূর্যের কিরণ ভূপৃষ্ঠে পৌঁছাতে বাধা দেয়। দ্বিপ্রহর পর্যন্ত দেশের অধিকাংশ স্থানে সূর্য কিরণ দিতে পারেনি। আবার দুপুরের পর সূর্য যেন হঠাৎ করে চলে গেছে পাটের দিকে। ফলে ধরণী উষ্ণ হতে পারেনি।

আর এতে বাড়তে পারেনি সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। ফলে সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পার্থক্য বড় হতে পারেনি। সূর্যের কিরণের অভাবে কুয়াশার প্রকোপও তেমনটা কাটতে পারেনি। সব কারণ মিলে শীতের অনুভূতি বাড়িয়ে দিয়েছে। যদিও কোথাও শৈত্যপ্রবাহ পরিস্থিতি নেই।

বাংলাদেশে ঢাকা, গোপালগঞ্জ, নিকলি ও কুমিল্লায় বুধবার সামান্য বৃষ্টি হয়। আবহাওয়াবিদদের মতে, সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পার্থক্য ১০ ডিগ্রির কম হলেই শীতের অনুভূতি বাড়তে থাকে। বুধবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল সীতাকুণ্ডে ১১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *