বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকারের পায়ের তলায় মাটি নেই, তারা সম্পূর্ণ জনবিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এ জন্যই তারা পুলিশ দিয়ে নির্যাতন করে, গুলি করে, লাঠিপেটা করে গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে দমন করে রাখতে চায়।
আজ মঙ্গলবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে রাজধানীর চন্দ্রিমা উদ্যানে দলের প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পর সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, চন্দ্রিমা উদ্যানে বিএনপির শান্তিপূর্ণ একটা কর্মসূচিতে পুলিশ গুলি করে, লাঠিপেটা করে অসংখ্য নেতা-কর্মীকে আহত করেছে।
এ সময়ে তিনি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান।
আজ বেলা ১১টার দিকে বিএনপির নবগঠিত ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের কমিটির নেতাদের নিয়ে মির্জা ফখরুলের নেতৃত্বে চন্দ্রিমা উদ্যানে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত ও ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর কর্মসূচি ছিল। এ উপলক্ষে সকাল ১০টার পর থেকেই উদ্যানের আশপাশে বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী জড়ো হতে থাকেন। বেলা পৌনে ১১টার দিকে সেখানে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পুলিশের রাবার বুলেট ও লাঠিপেটায় প্রায় অর্ধশত নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন বলে বিএনপির নেতারা দাবি করেন।
হট্টগোলের মধ্যে বিএনপির নেতা-কর্মীরা পুলিশের ওপর চড়াও হয়েছেন—এমন অভিযোগের বিষয়ে বিএনপির মহাসচিব বলেন, এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ। শান্তিপূর্ণ একটা কর্মসূচি, নেতা-কর্মীরা ফুল দিতে এসেছে এবং জিয়ারত করবে, সেখানে উসকানির তো প্রশ্নই উঠতে পারে না।
মির্জা ফখরুল বলেন, নেতা–কর্মীরা শত বাধা উপেক্ষা করে আজ এখানে উপস্থিত হয়েছেন, শেষ পর্যন্ত জিয়ারত করেছেন এবং পুষ্পস্তবক অর্পণ করেছেন। এ সরকারের পায়ের তলায় মাটি নেই, তারা সম্পূর্ণ জনবিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এ জন্যই তারা পুলিশ দিয়ে নির্যাতন করে, গুলি করে, লাঠিপেটা করে গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে দমন করে রাখতে চায়।
তিনি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, জনগণের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এ সরকারকে পরাজিত করা সম্ভব হবে এবং আমাদের ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ কমিটি সেই আন্দোলনে নেতৃত্ব দেবে। এ প্রত্যাশা আমরা করি। আমরা আবারও সরকার ও পুলিশের এহেন নির্যাতনের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
সংঘর্ষ শেষ হওয়ার পর মির্জা ফখরুল উদ্যানে জিয়াউর রহমানে সমাধিস্থলে যান বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে। এরপর তিনি নেতা–কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে জিয়াউর রহমানের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
এ সময়ে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ঢাকা মহানগরের নবগঠিত দুই কমিটির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান ও আবদুস সালাম, সদস্য সচিব আমিনুল হক ও রফিকুল আলম মজনু, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা খায়রুল কবির খোকন, শিরিন সুলতানা, শামীমুর রহমান শামীম, আমিরুজ্জামান শিমুল, যুবদলের সাইফুল আলম নিরব, সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, মোরতাজুল করীম বাদরু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
গত ২ আগস্ট চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমানের নেতৃত্বে উত্তরের ৪৭ সদস্য এবং আবদুস সালামের নেতৃত্বে দক্ষিণে ৪৯ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন দেয় বিএনপি।