আজ রোববার (৩১ জানুয়ারি) দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে কুড়িগ্রামে ৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
গত এক সপ্তাহ ধরে দিনের বেলা কিছু সময়ের জন্য সূর্যের দেখা মিললেও সন্ধ্যা থেকে সকাল ১১টা পর্যন্ত ঘন কুয়াশায় ঢেকে রয়েছে প্রকৃতি।
এ অবস্থায় কনকনে ঠাণ্ডায় কাহিল হয়ে পড়েছে উত্তরের জনপদ কুড়িগ্রামের মানুষ। এতে করে ব্যাহত হয়ে পড়েছে স্বাভাবিক জীবন।
রোববার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুড়িগ্রাম কৃষি আবহাওয়া অফিসের কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষক সুবল চন্দ্র সরকার।
স্থানীয় আবহাওয়া অফিসের কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষন সুবল চন্দ্র সরকার জানান, রোববার জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এ অবস্থা আরও দুই থেকে তিন দিন পর্যন্ত চলতে পারে।
ঠাণ্ডার মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় সবচেয়ে বিপাকে পড়েছেন জেলার কৃষি শ্রমিকরা। বোরো চাষের ভরা মৌসুম চললেও কনকনে ঠাণ্ডায় শ্রমিকরা ঠিকমত মাঠে কাজ করতে পারছেন না। এতে ব্যাহত হয়ে পড়েছে বোরো আবাদ। কনকনে ঠাণ্ডায় গরম কাপড়ের অভাবে দুর্ভোগ বেড়েছে ছিন্নমূল, হতদরিদ্র পারিবারের শিশু ও বৃদ্ধরা।
অন্যদিকে, টানা শীতে জেলার হাতপাতালগুলোতে বেড়েছে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। বিশেষ করে শিশুরা আক্রান্ত হচ্ছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্টসহ নানা শীতজনিত রোগে।
কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার পুলক কুমার সরকার জানান, কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা স্বাভাবিক রোগীর চেয়ে কিছুটা বেশি। হাসপাতালে শিশু ও বৃদ্ধ রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এ সময়ে সচেতন থাকার কোনো বিকল্প নেই।