সাকিবের পর মিরাজের ব্যাটে স্বস্তি নিয়েই লাঞ্চে বাংলাদেশ

ঈশ! সাকিব যদি আউট না হতেন! চট্টগ্রামের টেস্টের আজ দ্বিতীয় দিনের মধ্যাহ্ন বিরতেতে যাওয়ার সময় নিশ্চিতভাবেই এই আফসোসটা সঙ্গী হয়েছে বাংলাদেশের। কারণ, দলকে পথ দেখানো সাকিব আউট হয়ে গেছেন মধ্যাহ্ন বিরতির মাত্র ৬.১ ওভার আগে। তবে সাকিবের এই আউট হওয়ার আফসোসটুকু বাদ দিলে স্বস্তি নিয়েই দ্বিতীয় দিনের ভুরিভোজে গেছে টাইগাররা। ৭ উইকেটে ৩২৮ রান, স্কোরটা স্বস্তি পাওয়ার মতোই!

৫ উইকেটে ২৪২ রান নিয়ে দিন শুরু করে ৭ উইকেটে ৩২৮। মানে আজ প্রথম সেশনে ২ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ যোগ করেছে ৮৬ রান। এটা ভালো’র ছাড়পত্রই পাবে। আরও ভালো হতো, যদি সাকিব আউট না হতেন। কিন্তু যেটা ঘটেছে সেটা নিয়ে আফসোস করে লাভ নেই! সাকিবকে দোষও দেওয়া যাচ্ছে না। দীর্ঘ দিন পর টেস্ট খেলতে নেমে বাংলাদেশ যে নিজেদের প্রথম ইনিংসে এরই মধ্যে তিনশ’ পেরিয়ে গেছে, এখন স্বপ্ন দেখছে ৩৫০ পেরোনোর। তার পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান সাকিবেরই।

ওয়ানডের পর টেস্টের প্রত্যাবর্তনটাও তিনি এরই মধ্যে রাঙিয়ে নিয়েছেন। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরাটা সাকিব উদযাপন করেছেন এই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে ‘সিরিজ সেরা’ হয়ে! টেস্টেও প্রত্যাবর্তন ইনিংসেই পেয়েছেন হাফসেঞ্চুরি। খেলেছেন ১৫০ বলে ৬৮ রানের দায়িত্বশীল ও ধৈর্যশীল এক ইনিংস। যা এখনো পর্যন্ত দলের পক্ষে সর্বোচ্চ।

২৪২ থেকে দলকে ৩২৮-এ নিয়ে যাওয়ায় সাকিবের মতোই বড় ভূমিকা রেখেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। সপ্তম উইকেটে তাদের ৬৭ রানের জুটিই জুটিই মূলত দলকে ৩২৮-তে নিয়ে গেছে। আগের দিনের ২৪২ এর সঙ্গে আর মাত্র ৬ রান যোগ করে ফিরে যান লিটন দাস। জোমেল ওয়ারিকানের শিকার হওয়ার আগে লিটন করেছেন ৩৮ রান। লিটনের দ্রুত বিদায়ে সাত-সকালেই ব্যাট হাতে নামতে হয় মেহেদী হাসান মিরাজকে। তিনি যোগ দেন সাকিবের সঙ্গে। দুজনে মিলে জুটি গড়ার চেষ্টা করেন।

সেই চেষ্টায় সফলও হয়েছেন তারা। যদিও জুটিটা ৬৭-এর বেশি লম্বা করতে পারেননি। সাকিবের বিদায়ের মধ্যদিয়ে ভেঙেছে এই জুটি। তবে সাকিব ফিরে গেলেও মেহেদী মিরাজ এখনো দলের ভরসা হয়ে জ্বলছেন। যিনি মধ্যাহ্ন বিরতিতে গেছেন হাফসেঞ্চুরির অপেক্ষা নিয়ে। ৪৬ রানে অপরাজিত আছেন। আর মাত্র ৪ রান হলেই মিরাজ পেয়ে যাবেন ফিফটির দেখা। তার সঙ্গী তাইজুল ইসলাম ব্যাট করছেন ৫ রান নিয়ে।