মঙ্গলবার এ ঘটনার পর খবর পেয়ে স্থানীয় প্রশাসন বিদ্যুৎ ও গ্যাসের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে ভবনটি সিলগালা করে দিয়েছে। এর আগে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে ভবনের বাসিন্দাদের সরিয়ে নেয়।
ওয়াপদা রোডের ৩/২ নম্বর ‘প্রিয়াংকা ম্যানশন’ নামের বাড়িটির মালিক তাজুল ইসলামের স্ত্রী মাজেদা আক্তার। তিনি পরিবার নিয়ে ওই ভবনের দ্বিতীয় তলায় থাকতেন।
সাভার পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী শরীফুল ইমাম জানান, প্রাথমিকভাবে ভবনটি সিলগালা করা হবে। পরে বুয়েটের প্রকৌশলী এসে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর সঠিক ঘটনা জানা যাবে।
তবে ভবনটির কোনো অনুমোদন রয়েছে কিনা, সে বিষয়ে কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেননি মালিকপক্ষ।
সাভার পৌর মেয়র হাজী আব্দুল গণি জানান, গত কয়েক দিন ধরে ভবনটি হেলে পড়েছে। তবে আজ ভবনে ফাটল দেখা দেওয়ায় আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি আরও জানান, ভবনটি ৯০ এর দশকে নির্মাণ করা হয়েছিল। এর কোনো বৈধ কাগজপত্র বাড়ির মালিক দেখাতে পারেন নাই। অবৈধভাবে ভবনটি নির্মাণ করা হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সাভার ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার ফরহাদ হোসেন জানান, ভবন থেকে নিরাপদ দূরত্বে সকলকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে ভবনটি কিছুটা দেবে গিয়েছে। তবে হেলে পড়েছে কিনা পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানা যাবে।
সাভারের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামীম আরা নিপা বলেন, পৌরসভার পক্ষ থেকে ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়েছে। এ কারণে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে ভবনটি সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে। দুর্ঘটনা এড়াতে ওয়াপদা রোডে যানবাহন ও জনসাধারণের চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।