Warning: Creating default object from empty value in /home/khaledka/public_html/soroborno.com/wp-content/themes/DhakaMirror/lib/ReduxCore/inc/class.redux_filesystem.php on line 29
সার্বজনীনভাবে শিক্ষার মান বাড়াতে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান সার্বজনীনভাবে শিক্ষার মান বাড়াতে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান – soroborno.com
  1. hmgrobbani@yahoo.com : admin :
  2. news@soroborno.com : Md. Rabbani : Md. Rabbani
  3. sayefrahman7@gmail.com : Sayef Rahman : Sayef Rahman
শনিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:২৬ পূর্বাহ্ন

সার্বজনীনভাবে শিক্ষার মান বাড়াতে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান

Reporter Name
  • Update Time : বুধবার, ৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩

ঢাকা: সার্বজনীনভাবে মান বাড়িয়ে শিক্ষা যাতে সবাই গ্রহণ করতে পারে সেদিকে নজর দিতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, বর্তমানে আমাদের শিক্ষার হার ৭৫ দশমিক ২ শতাংশে উন্নীত করতে পেরেছি। এই কয়েক বছরে যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে। তবে এটা আরও বাড়ানো দরকার।


বুধবার (৮ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টার দিকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের চামেলী হলে উচ্চমাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার ফল হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন। তার আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে উচ্চমাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার ফল হস্তান্তর করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এসময় শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল উপস্থিত ছিলেন। শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকরা প্রধানমন্ত্রীর হাতে ফলাফলের সারসংক্ষেপ তুলে দেন।

কৃতকার্য শিক্ষার্থীদের আন্তরিক অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী। কৃতকার্য এবং অকৃতকার্যদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা পাস করতে পারেনি, তারা যেন মন খারাপ না করে নতুন উদ্যমে আবার পরীক্ষার প্রস্তুতি নেয়।


প্রধানমন্ত্রী বলেন, তবে পাসের হারে আমি দেখলাম মেয়েদের সংখ্যা একটু বেশি। প্রায় আড়াই শতাংশ মেয়ে বেশি। আমি বলব যে ছেলেদের পড়াশোনায় আরও মনোযোগী হওয়া দরকার।

এবিষয়ে অভিভাবক ও শিক্ষকদের মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমাদের ছেলেমেয়েরা আসলে খুব মেধাবী। একটু সুযোগ পেলে তারা অসাধ্য সাধন করতে পারে। এটা আমরা জানি।


প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে আমাদের শিক্ষার হার ৭৫ দশমিক ২ শতাংশে উন্নীত করতে পেরেছি। এই কয়েক বছরে যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে। আমরা চাই আমাদের শিক্ষার হার আরও বৃদ্ধি পাক। কারণ আমি আগেই বলেছি, আমরা যেটুকু বাড়িয়ে গিয়েছিলাম (১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত) ৬৫ দশমিক ৫ শতাংশ, বিএনপি-জামায়াত জোট (ক্ষমতায়) এসে সেটাকে কমিয়ে আবার সেই ৪৫ ভাগের নিচে নামিয়ে এনেছিল। সেখান থেকে ৭৫ দশমিক ২ শতাংশে যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে। তবে এটা আরও বাড়ানো দরকার।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা চাই আমাদের দেশটা এগিয়ে যাক। কারণ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সোনার বাংলা গড়তে চেয়েছিলেন এবং বলেছিলেন সোনার বাংলা গড়ার জন্য আমি সোনার মানুষ চাই। আজকের ছেলেমেয়েরাই তো আমাদের সোনার মানুষ।


তিনি বলেন, ভোকেশনাল ট্রেনিংয়ের দিকে বেশি নজর দেওয়া উচিত। তথ্যপ্রযুক্তি ট্রেনিংয়ের জন্য আমরা অনেক সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছি। বিশেষ করে ইনকিউবেশন সেন্টার থেকে শুরু করে বিভিন্ন ডিজিটাল সেন্টার করে দিয়েছি। এখানে ছেলেমেয়েদের জন্য একটা সুযোগ আছে। একটা পরীক্ষা দিয়ে আরেকটা পড়াশোনার মাঝামাঝি সময়ে তারা আইসিটি বিষয়ে অর্থাৎ, কম্পিউটার বিষয়ে আরও ট্রেনিং নিতে পারে।

সরকার প্রধান বলেন, প্রতিটি উপজেলায় কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান করে দিচ্ছি। শুধুমাত্র বিএ/এমএ পাস করলেই হবে না, কোনো একটি বিষয়ে তাদের একটি বিশেষজ্ঞ জ্ঞান নিতে হবে। তাহলে তাদের কর্মক্ষেত্রে একটা সুযোগ সৃষ্টি হবে। দেশে বিদেশেও তারা কাজ পাবে। সময়টা নষ্ট না করে তারা যদি এভাবে ট্রেনিংটা নিতে পারে তাহলে কিন্তু তাদের জন্য অনেক কর্মক্ষেত্র প্রসারিত হবে এবং দক্ষতা অর্জন করতে পারবে।


প্রধানমন্ত্রী শিক্ষাক্ষেত্রে সরকারের নানামুখী কর্মসূচি বাস্তবায়ন করার প্রসঙ্গ তুলে ধরার পাশাপাশি নির্ধারিত সময়ের আগেই ফলাফল প্রকাশ করার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।

মাদরাসা শিক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে সেখানেও তথ্যপ্রযুক্তির শিক্ষা বিকাশের দিকে নজর দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

এবিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন,আমরা তো সকলের জন্যই কাজ করে যাচ্ছি। আমরা ইতোমধ্যে অনেক মাদরাসা এমপিওভুক্ত করে দিয়েছি। শিক্ষকদের সরকারি চাকরির সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছি। কাজেই সেদিকে লক্ষ্য রেখে অর্থাৎ, সার্বজনীনভাবে শিক্ষার মানটা বাড়ানো এবং এই শিক্ষাটা যাতে আরও মানুষ গ্রহণ করতে পারে, সেদিকে দেখতে হবে। কারণ করোনাকালীন সময়ে অনেকে স্কুল কলেজে যেতে না পারে কিছুটা বিক্ষিপ্ত হয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু আমি মনে করি যে, সেই সময়টা পার হয়ে গেছে। কারণ করোনা আমরা অনেক দক্ষতার সঙ্গে মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছি।

এ বছর ১২ লাখ ৩ হাজার ৪০৭ শিক্ষার্থী এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেন। এর মধ্যে ৬ লাখ ২২ হাজার ৭৯৬ ছাত্র এবং ৫ লাখ ৮০ হাজার ৬১১ ছাত্রী। সারা দেশে ২ হাজার ৬৪৯টি কেন্দ্রে একযোগে এ পরীক্ষা নেওয়া হয়। মোট ১১টি শিক্ষাবোর্ডের মধ্যে ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পরীক্ষার্থী ছিল ৯ লাখ ৮৫ হাজার ৭১৩ জন। এর মধ্যে ছাত্র ৫ লাখ ৮২ হাজার ১৮৩ এবং ছাত্রী ৫ লাখ ৩ হাজার ৫৩০। মাদরাসা শিক্ষাবোর্ডের অধীনে আলিম পরীক্ষায় ২ হাজার ৬৭৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিপরীতে ৪৪৮টি কেন্দ্র মোট পরীক্ষার্থী ৯৪ হাজার ৭৬৩ জন। এর মধ্যে ৫১ হাজার ৬৯৫ ছাত্র এবং ৪৩ হাজার ৬৮ ছাত্রী।

এ ছাড়া কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের অধীনে এইচএসসি (বিএম/বিএমটি), এইচএসসি (ভোকেশনাল), ডিপ্লোমা-ইন-কমার্স পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১ লাখ ২২ হাজার ৯৩১। এর মধ্যে ৮৮ হাজার ৯১৮ ছাত্র এবং ৩৪ হাজার ১৩ জন ছাত্রী।

More News Of This Category
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি