1. hmgrobbani@yahoo.com : admin :
  2. news@soroborno.com : Md. Rabbani : Md. Rabbani
  3. sayefrahman7@gmail.com : Sayef Rahman : Sayef Rahman
সোমবার, ২০ মার্চ ২০২৩, ০৯:১৯ অপরাহ্ন

সিন্ডিকেট রেখেই মালয়েশিয়ায় শ্রমিক যাবে জুন থেকে

Reporter Name
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ২ জুন, ২০২২

ঢাকা: দফায় দফায় চিঠি চালাচালি আর বৈঠকের পর চূড়ান্ত হলো মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর বিষয়টি। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান বিষয়ক মন্ত্রী ইমরান আহমদ জানিয়েছেন, চলতি জুন মাসেই কর্মী পাঠানো শুরু হচ্ছে দেশটিতে। এ বছর বাংলাদেশ থেকে যেতে পারবেন মোট দুই লাখ কর্মী। আর প্রত্যেকের অভিবাসন ব্যয় থাকবে দেড় লাখ টাকার মধ্যে।


বৃহস্পতিবার (২ জুন) প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি। এর আগে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়া সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের মধ্যে যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠক শেষে সংবাদ ব্রিফিংয়ে মন্ত্রী বলেন, মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠাতে আর কোনো বৈঠকের হয়তো প্রয়োজন হবে না। সমঝোতা চুক্তি অনুযায়ী সব শর্ত মেনেই দেশটিতে কর্মী পাঠানো হবে। আমরা আশা করছি, জুনের মধ্যেই কর্মী পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করতে পারব।


মন্ত্রী বলেন, সরকারের ডাটা ব্যাংক থেকে কর্মী পাঠানো হবে। তার আগে সংবাদপত্র ও টিভিতে বিজ্ঞাপন দেওয়া হবে।

কোন প্রক্রিয়ায় কর্মী পাঠানো হবে— এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, দেশে সরকারিভাবে বৈধ ১ হাজার ৫২০ এজেন্সি রয়েছে। তাদের তালিকা আমরা আগেই পাঠিয়েছি। সমঝোতা চুক্তি অনুযায়ী তালিকা থেকে বাছাই করার অধিকার মালয়েশিয়ার রয়েছে। কারণ তারা বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেবে। সিন্ডিকেটের কথা সমঝোতা চুক্তিতেও নেই, আজকের আলোচনাতেও ছিল না।


মালয়েশিয়ার বাছাই করা এজেন্সির বাইরে যেসব এজেন্সি থাকবে, তারা কী করে ব্যবসা করবে— জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, মানুষ ব্যবসার চিন্তা করেই লাইসেন্স নেয়। তারা নিজ নিজ ব্যবসা খুঁজে নেবে।

সংবাদ ব্রিফিংয়ে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান সচিব মুনিরুছ সালেহীন বলেন, সমঝোতা সইয়ের বাস্তবায়নের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশ তাদের তালিকা দেবে। সে অনুযায়ী তারা বাছাই করে সিদ্ধান্ত নেবে।


তিনি বলেন, আগামী ১ বছরে দেশটির অর্থনৈতিক খাতে দুই লাখ বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেবে। মালয়েশিয়ার মন্ত্রী বলেছেন, চুক্তি অনুযায়ী কম খরচে কর্মী নেবে। পাশাপাশি সিকিউরিটি পারসোনাল এবং ডোমেস্টিক ওয়ার্কার্স পদে লোক নেবে। এসব খাত এখনো বাংলাদেশের জন্য উন্মুক্ত হয়নি। এছাড়া মন্ত্রণালয় থেকে যারা তালিকাভুক্ত হবেন, এমন তালিকা থেকেই মেডিকেল সেন্টারও তারা ঠিক করবেন। আমরা চাই কর্মীদের কল্যাণ নিশ্চিত করতে। তাদের বেতন হবে ১৫০০ মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত। তাদের সব নিরাপত্তা হবে মালয়েশিয়ান আইনে।

সচিব আরও বলেন, সমঝোতা চুক্তি অুনযায়ী নির্ধারণ করা হবে। মালয়েশিয়ার মন্ত্রী আমাদের অভিবাসন খরচ ‘জিরো’তে রাখার কথা বলেছেন। যদি কোনো রিক্রুটিং এজেন্সি নিয়ম ভঙ্গ করে, তাহলে তারা আইনি ব্যবস্থা নেবেন। আমরা একটি খরচ নির্ধারণ করে দেবো, তার বাইরে কোনো বাড়তি টাকা নিলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কর্মীদের সুরক্ষার জন্যই এসব উদ্যোগ।


সমঝোতা অনুযায়ী, মালয়েশিয়াতে পৌঁছানোর পর কোয়ারেন্টাইন খরচ কর্মীকে বহন করতে হবে। বাংলাদেশে স্বাস্থ্য পরীক্ষা, পাসপোর্টসহ কিছু খরচ কর্মীকেই বহন করতে হবে। তবে যাওয়া-আসার টিকিটের খরচ দেবে মালয়েশিয়া।

এর আগে, ২০২১ সালের ১৯ ডিসেম্বর মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠাতে সমঝোতা চুক্তি হয়। চুক্তির এক মাসের মধ্যেই কর্মী পাঠানোর কথা থাকলেও সিন্ডিকেট ইস্যুতে তা গত ছয় মাস ধরে ঝুলে থাকে। অবশেষে সে সমস্যা শেষ করে চলতি মাসে মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানো শুরুর কথা জানালেন প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রী।

More News Of This Category
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি