ঢাকা: সিলেট-৩ আসনের উপনির্বাচন স্থগিতের নির্দেশনা চেয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদাকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ আইনজীবী। আগামী বুধবার (২৮ জুলাই) এ নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে।
রোববার (২৫ জুলাই) পাঁচ জনের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির এ নোটিশ পাঠান। প্রধান নির্বাচন কমিশনার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কথা বললেও ওই বাধ্যবাধকতা পূরণে আরও এক মাসেরও বেশি সময় থাকায় ২৮ জুলাই নির্বাচন স্থগিত করার আহ্বান জানানো হয়েছে নোটিশে।
যে আইনজীবীদের পক্ষ থেকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে তারা হলেন— মো. মুজাহিদুল ইসলাম, আল রেজা মো. আমির, মো. জোবায়দুর রহমান, মো. জহিরুল ইসলাম ও মুস্তাফিজুর রহমান।
সংবিধানের সংশ্লিষ্ট অনুচ্ছেদ উল্লেখ করে নোটিশে বলা হয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ১২৩-এর দফা ৪ শর্ত অনুযায়ী ২০২১ সালের ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সিলেট-৩ আসনের উপনির্বাচন আয়োজন করা সম্ভব। ফলে ২৮ জুলাই অনুষ্ঠেয় নির্বাচন স্থগিত করা যাবে না— প্রধান নির্বাচন কমিশনারের এই বক্তব্য আইনের সঠিক ব্যাখ্যা নয়।
সংবিধান অনুযায়ী কোনো সংসদীয় আসন শূন্য হলে ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচনের বিধান রয়েছে। তবে দৈব-দুর্বিপাকের কারণে নির্বাচন করতে না পারলে আরও ৯০ দিন সময় পেছাতে পারে ইসি।
নোটিশে বলা হয়েছে, চলমান করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের উচিত কঠোর বিধিনিষেধ চলাকালে নির্বাচন না করা এবং ৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে অন্য যেকোনো দিন ভোটগ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করা।
৩ লাখ ৫২ হাজার ভোটারের এই নির্বাচন অনুষ্ঠান সরকারের জারি করা বিধিনিষেধেরও নীতিবিরোধী উল্লেখ করে ২৮ জুলাইয়ের উপনির্বাচন স্থগিতের অনুরোধ জানানো হয়েছে নোটিশে। তা না করলে নোটিশদাতারা উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হতে বাধ্য হবেন বলেও জানানো হয়েছে।
গত ১১ মার্চ সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগ নেতা মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে মারা গেলে আসনটি শূন্য হয়। ২ জুন এই আসনে উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। তফসিল অনুযায়ী ১৪ জুলাই এই উপনির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। পরে করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির কারণে নির্বাচন পিছিয়ে ২৮ জুলাই নিয়ে যাওয়া হয়।