ব্রাজিলের বিপক্ষে খেলতে নামার আগেই আর্জেন্টিনার চার খেলোয়াড় সন্দেহের তালিকায় ছিল। কোয়ারেন্টাইনের নিয়ম ভাঙার অভিযোগে তাদের নিয়ে আগে থেকেই তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছিলো ব্রাজিলের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা।
স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা মাঠে উপস্থিত হওয়ার পরই জেগেছিল শঙ্কা। শেষ পর্যন্ত সেটাই সত্যি হয়েছে। স্থগিত হয়ে গে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার লড়াই।
লাতিন আমেরিকার ফুটবলের নিয়ন্তা সংস্থা কনমেবল এক টুইটে রোববার জানায়, ম্যাচ রেফারি স্থগিত করে দিয়েছে ফিফা আয়োজিত বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের এই ম্যাচ। ম্যাচ রেফারি ও ম্যাচ কমিশনার ফিফার শৃঙ্খলা কমিটির কাছে এ নিয়ে প্রতিবেদন দেবে। তার উপর ভিত্তি করে পরবর্তী করণীয় ঠিক করা হবে। এই প্রক্রিয়া বর্তমান নিয়ম দৃঢ়ভাবে অনুসরণ করেই এগোবে।
শুরুর কয়েক মিনিটের মাথায় ব্রাজিলের স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের আপত্তির মুখে ম্যাচ স্থগিত হয়ে যাওয়ায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন আর্জেন্টাইন ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এএফএ) প্রধান ক্লাওদিয়ো তাপিয়া।
তিনি বলেন, আজ যা ঘটেছে তা ফুটবলের জন্য খুব দুর্ভাগ্যজনক। খেলাটির ভাবমূর্তির জন্য এটি খুবই খারাপ হলো। চার জন মানুষ একটি নোটিশ দিতে খেলার বিঘ্ন ঘটাল এবং কনমেবল খেলোয়াড়দের লকার রুমে চলে যেতে বলল।
‘কেউ কোনো মিথ্যে বলতে পারবে না। কারণ, স্বাস্থ্য নিয়ে আইন রয়েছে যার অধীনে লাতিন আমেরিকার টুর্নামেন্টগুলোর খেলা হয়। প্রতিটি দেশের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ এই প্রটোকল অনুমোদন করে আর এটি পুরোপুরি মেনে চলেছি।’
আপাতত খেলোয়াড়দের ব্রাজিল থেকে বের করে আনাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন তাপিয়া।
ক্লাওদিয়ো তাপিয়া জানান, এই মুহূর্তে খেলোয়াড়দের দেশে ফিরিয়ে আনাই আমাদের কাছে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে। ওদের আর্জেন্টিনায় ফিরিয়ে আনতে আমরা চার্টার ফ্লাইটের সময় এগিয়ে নিয়ে এসেছি।
আর্জেন্টিনা কোচ লিওনেল স্কালোনি ভীষণ হতাশ ম্যাচ স্থগিত হয়ে যাওয়ায়। তার মতে খেলা শুরু হয়ে যাওয়ার পর কোনোভাবেই সেখানে বিঘ্ন ঘটানো ঠিক হয়নি।
তিনি বলেন, কি ঘটেছে দেশবাসীকে জানাতে আমি এখানে এসেছি। এটা আমাকে খুব ব্যথিত করছে। আমি কাউকে দোষারোপ করতে আসিনি। তবে যদি কিছু ঘটেও থাকে সেটার জন্য বিঘ্ন ঘটানোর সময় এটা ছিল না।
ব্রাজিলে করোনাভাইরাস মহামারি ব্যাপকারে ছড়ানোয় দেশটির সরকার এ ব্যাপারে খুবই কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। এর মধ্যে নিয়ম ভাঙে আর্জেন্টাইন চার ফুটবলার। তাই তাদের বিরুদ্ধে পৃথক বিবৃতিতে সাও পাওলো স্টেট হেলথ সেক্রেটারিয়েটের পক্ষ থেকে ‘একটি এপিডেমিওলজিক্যাল এবং স্যানিটারি তদন্ত শুরুর’কথা বলা হয়েছিল।
তাছাড়া অভিযুক্ত চার খেলোয়াড় যদি কোয়ারেন্টাইন থেকে অব্যাহতি পাওয়ার নথিপত্র দেখাতে না পারে, তাহলে ব্রাজিলের বিপক্ষে ম্যাচে তাদের অংশগ্রহণ আটকে যেতে পারে। শেষ পর্যন্ত ম্যাচ স্থগিতই হলো। তবে কখন এ ম্যাচ মাঠে গড়াবে সে সম্পর্কে এখনও জানা যায়নি।