নিজ বাড়িতে অস্ত্রধারীদের গুলিতে হাইতির প্রেসিডেন্ট জোভেন মোসের মৃত্যুর পর হত্যাকাণ্ড নিয়ে ব্যাপক অনুসন্ধান শুরু করেছে দেশটির পুলিশ বিভাগ।
এ ব্যাপারে হাইতির পুলিশ প্রধান লিওন চার্লস সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, ২৮ বিদেশির একটি সংঘবদ্ধ গ্রুপ এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। তাদের মধ্যে ২৬ জন কলম্বিয়ার নাগরিক। দুইজন হাইতিয়ান বংশোদ্ভূত আমেরিকান।
এছাড়াও, হত্যাকাণ্ডে অংশ নেওয়াদের মধ্যে অধিকাংশই কলম্বিয়া সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সদস্য বলে জানিয়েছেন হাইতিম পুলিশের ওই শীর্ষ কর্মকর্তা।
এদিকে, হাইতির প্রেসিডেন্ট হত্যাকাণ্ডে অংশ নেওয়া দুই আমেরিকানসহ ১৭ জন এখন দেশটির পুলিশের হাতে গ্রেফতার আছেন। খুনেচক্রের আরও আট সদস্য পলাতক। নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে বাকিদের মৃত্যু হয়েছে।
এর আগে, বুধবার (৭ জুলাই) স্থানীয় সময় ভোরে প্রেসিডেন্ট নিজ বাসভবনে হামলার শিকার হন। ওই হামলায় ফার্স্ট লেডিও গুরুতর আহত অবস্থায় বর্তমানে ফ্লোরিডায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন। প্রেসিডেন্টের মরদেহ উদ্ধারকারীরা জানিয়েছেন তার পিঠে ১২টি বুলেটের ক্ষত ছিল।
তবে, কেনো এই হত্যাকাণ্ড তা এখনো পরিষ্কার হয়নি। এ ব্যাপারে হাইতির অন্তর্র্বতীকালীন প্রধানমন্ত্রী এবং বর্তমান শাসনভারে থাকা ক্লাউডে জোসেফ বিবিসিকে বলেছেন, করপোরেট এলিটদের ব্যাপারে সোচ্চার থাকাই প্রেসিডেন্টের জন্য কাল হয়েছে।