অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের একটি মামলায় আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হাজি সেলিমের ১০ বছরের কারাদণ্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট।
তবে সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে দুদকের আরেকটি মামলায় হাজি সেলিমে তিন বছরের সাজা থেকে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার বিচারপতি মো. মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
রায়ের অনুলিপি পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে এই আওয়ামী লীগ নেতাকে বিশেষ জজ আদালত-৭ এ আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছে।
এই সময়ের মধ্যে আত্মসমর্পণ না করলে তার জামিন নামা বাতিল করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আদালতে দুদকের পক্ষে আইনজীবী খুরশীদ আলম খান এবং হাজী সেলিমের পক্ষে আইনজীবী আবদুল বাসেত মজুমদার ও সাঈদ আহমেদ শুনানিতে ছিলেন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল তামান্না ফেরদৌস।
সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে জরুরি অবস্থার মধ্যে ২০০৭ সালের ২৪ অক্টোবর হাজী সেলিমের বিরুদ্ধে লালবাগ থানায় অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করে দুদক। ২০০৮ সালের ২৭ এপ্রিল রায়ে বিচারিক আদালত ১৩ বছরের কারাদণ্ড দেয় তাকে।
পরে ২০০৯ সালের ২৫ অক্টোবর হাজী সেলিম এ রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন। ২০১১ সালের ২ জানুয়ারি হাইকোর্ট ১৩ বছরের সাজা বাতিল করে রায় দেয়।
হাইকোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আদালতে আপিল করে দুদক। ওই আপিলের শুনানি শেষে ২০১৫ সালের ১২ জানুয়ারি হাইকোর্টের রায় বাতিল হয়ে যায়।
সেই সঙ্গে হাজী সেলিমের আপিল পুনরায় হাইকোর্টে শুনানির নির্দেশ দেয় দেশের সর্বোচ্চ আদালত।
সে নির্দেশনার আলোকে গত বছর ৯ নভেম্বর দুদক হাজী সেলিমের আপিল দ্রুত শুনানির জন্য আবেদন করে।
সে আবেদনের শুনানি করে আদালত ১১ নভেম্বর এ মামলার বিচারিক আদালতের নথি তলব করে। নথি আসার পর গত ৩১ জানুয়ারি আপিলের শুনানি শুরুর পর মঙ্গলবার রায় হল।