ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলি এখন সম্পূর্ণ সুস্থ। আগামীকাল বুধবার হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরবেন তিনি।
দেশটির বিশিষ্ট চিকিৎসক দেবী শেঠি বলেন, ‘আজই বাড়ি ফিরতে পারতেন। আজ আমি এসেছি বলে যাচ্ছেন না।’
হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ (মঙ্গলবার) সকালে উডল্যান্ডস হাসপাতালে আসেন বিশিষ্ট চিকিৎসক। সেখানে সৌরভের মেডিকেল রিপোর্ট দেখার পর মেডিকেল বোর্ডের সাথে আলোচনা করে ও সৌরভের সাথে কথা বলেন।
পরবর্তীতে উডল্যান্ডস হাসপাতালের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এখন ভালো আছেন সৌরভ। রাতে ভালো ঘুম হয়েছে। আগামীকাল সৌরভকে হাসপাতাল থেকে ছাড়া হবে। তাকে বাড়িতে নিয়মিত পর্যবেক্ষণে রাখা হবে।
দেবী শেঠি জানিয়েছেন, সৌরভের হৃদপিণ্ড ভালো আছে। হৃদপিণ্ড ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। পুরোপুরি সুস্থ আছেন তিনি। সৌরভের জীবনযাপনের ধরনেও কোনো পরিবর্তন আসবে না। এমনকি সৌরভ ম্যারাথনে দৌড়াতে পারবেন।
তিনি আরও বলেন, সৌরভের মতো একজন প্রাক্তন খেলোয়াড় মাত্র ৪৮ বছরেই হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ায় হৃদরোগের ওপর বাড়তি নজর দিচ্ছেন সারা বিশ্বের মানুষ। সবাই ভাবছেন যে সৌরভের মতো একজন প্রাক্তন খেলোয়াড়ের কীভাবে মাত্র ৪৮ বছরেই হৃদরোগ হতে পারে। কিন্তু ভারতের মতো দেশে এটাই বাস্তব। ভারতীয়রা যে জীবনযাপনে অভ্যস্ত, তাতে এটা সাধারণ বিষয়। কোনো মানুষ কতটা ফিট, কতটা শক্তিশালী, তার ওপর নির্ভর করে না।
দেশটির ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) সভাপতির ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে, ২০০২-০৩ সাল নাগাদ শেষবার বিসিসিআই প্রেসিডেন্টের সম্পূর্ণ শারীরিক পরীক্ষা হয়েছিলো। তারপরও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ছিলেন সৌরভ। ২০০৮ সালে অবসর নেন। তা সত্ত্বেও মাঝের বছরগুলোতে শারীরিক পরীক্ষা হয়নি।
মঙ্গলবার সেই নিয়মিত শারীরিক পরীক্ষার ওপর জোর দিয়েছেন তারা। সকলেরই দু’বছরে কমপক্ষে একবার শারীরিক পরীক্ষা করানো উচিত। তাহলে হৃদরোগের আগাম সংকেত মিলবে। ন্যূনতম সিটি স্ক্যানও করতে পারতেন সৌরভ।