আন্তর্জাতিক ডেস্ক
টকশো তারকা অপরাহ উইনফ্রের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে, ব্রিটিশ রাজপরিবারের ব্যাপারে বিস্ফোরক মন্তব্য করে প্রিন্স হ্যারি ও মেগান মার্কেল সম্প্রতি ফের আলোচনায় এসেছেন। এরপরই, তাদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে রাজপরিবারের সদস্যরা জরুরি বৈঠকে বসেছেন। মঙ্গলবার (৯ মার্চ) এ খবর জানিয়েছে বিবিসি।
এ ব্যাপারে বিবিসি রয়্যাল করেসপন্ডেন্ট জানিয়েছেন, বাকিংহাম প্যালেস প্রিন্স হ্যারি ও মেগানের সাক্ষাৎকার বিষয়ে তড়িঘড়ি করে কোনো মন্তব্য করতে চায় না।
এর আগে, সোমবার (৮ মার্চ) হ্যারি-মেগানের ওই সাক্ষাৎকার কয়েকটি চ্যানেলে সম্প্রচার করা হয়। ওই আলাপচারিতায় তারা রাজপরিবারের অভ্যন্তরীণ বর্ণবাদ, মানসিক স্বাস্থ্য, সংবাদ মাধ্যমের বেপরোয়া দৌড়াত্ম নিয়ে কথা বলেন। সেখানেই ব্রিটিশ রাজপরিবারের অনেক অজানা তথ্য ফাঁস করেন মেগান।
এদিকে মেগানের মা কৃষ্ণাঙ্গ এবং বাবা শ্বেতাঙ্গ। টকশোতে তিনি বলেন, ২০১৮ সালে ব্রিটিশ রাজপরিবারে বিয়ে হওয়ার আগ পর্যন্ত তার জীবন ছিল সরল। কিন্তু সহযোগিতা চেয়েও না পাওয়ার পরে তার মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা দেখা দিয়েছিল।
এ বিষয়ে যুক্তরাজ্যের লেবার পার্টির নেতা স্যার কেইর স্ট্যারমার জানান, বর্ণবাদ এবং মানসিক স্বাস্থ্য সহযোগিতা চেয়েও না পাওয়ার ব্যাপারে মেগান যে অভিযোগ করেছেন তা গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়া উচিত।
তবে, প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এই ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। সোমবার তিনি বলেছেন, রাজপরিবারের ঐক্যের জন্য রানির ভূমিকার প্রতি তার সবসময় সর্বোচ্চ শ্রদ্ধা রয়েছে।
অন্যদিকে এই সাক্ষাৎকারটি এমন এক সময়ে সম্প্রচারিত হলো যখন হ্যারি-মেগান এবং ব্রিটিশ রাজতন্ত্রের মধ্যে তিক্ত সম্পর্ক বিরাজ করছে। প্রিন্স হ্যারি এবং মেগান মার্কেল সম্প্রতি তাদের রাজকীয় দায়িত্ব ত্যাগ করে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় বসবাস শুরু করেছেন।