স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘১২ বছরের বেশি ও ১৮ বছরের কম বয়সী শিক্ষার্থীদের করোনার টিকা দেয়া হবে। তবে ১২ বছরের ঊর্ধ্ব শিক্ষার্থীদের টিকা শুরুর বিষয়ে পর্যাপ্ত টিকাপ্রাপ্তি সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’
তিনি বলেন, ১২ থেকে ১৮ বছরে শিক্ষার্থীদের কীভাবে করোনা টিকা দেয়া যায় সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে আগামীকাল রোববার।
শনিবার সকালে নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কোর্সে কমপ্রিহেনসিভ পরীক্ষা কেন্দ্রে পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন অনুযায়ী- স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীদের টিকাদানের বিষয়টি বয়সের ওপর নির্ভর করবে। শিক্ষার্থীর বয়স যদি ১৮ বছরের বেশি হয়, তাহলে যেকোনো টিকা দেয়া যাবে। তবে ১২ বছরের বেশি, কিন্তু ১৮ বছরের কম বয়সী শিক্ষার্থীদের উন্নত বিশ্বে ফাইজার ও মডার্নার টিকা দেয়া হচ্ছে। আমাদের দেশে শিক্ষার্থীদের টিকা দেয়া হলে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইড লাইন অনুসরন করেই দেয়া হবে।’
এসময় ৯০ ভাগ মেডিকেল শিক্ষার্থীদের টিকা দেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
জাহিদ মালেক বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর শিক্ষা কার্যক্রম কিভাবে পরিচালিত হবে সেবিষয়েও সিদ্ধান্ত নেয়া হবে রোববার।
দেশের বিভিন্ন স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠানগুলোতে চিকিৎসকের তুলনায় তিনগুণ বেশি নার্সের ব্যবস্থা করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, করোনার শুরু থেকে চিকিৎসকদের পাশাপাশি নার্সরা কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। দেশে নার্সের স্বল্পতা রয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি নিয়োগের মাধ্যমে সেই স্বল্পতা কাটিয়ে উঠতে। গত এক বছরে আমরা উল্লেখযোগ্য সংখ্যক চিকিৎসক-নার্স নিয়োগ দিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, নার্সিং কলেজ ইনস্টিটিউট, মেডিকেল কলেজসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ১৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সব স্বাস্থ্যবিধি মেনে এমবিবিএস কার্যক্রম শুরু হবে। এজন্য চিকিৎসা শিক্ষার সঙ্গে জড়িত প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষকে আমাদের টিকা দেয়া হয়ে গেছে।