Warning: Creating default object from empty value in /home/khaledka/public_html/soroborno.com/wp-content/themes/DhakaMirror/lib/ReduxCore/inc/class.redux_filesystem.php on line 29
১৫০ কিলো গতিতে চলছিল ট্রেন, চালক গেলেন প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ১৫০ কিলো গতিতে চলছিল ট্রেন, চালক গেলেন প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে – soroborno.com
  1. hmgrobbani@yahoo.com : admin :
  2. news@soroborno.com : Md. Rabbani : Md. Rabbani
  3. sayefrahman7@gmail.com : Sayef Rahman : Sayef Rahman
শুক্রবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১১:৪৬ অপরাহ্ন

১৫০ কিলো গতিতে চলছিল ট্রেন, চালক গেলেন প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে

Reporter Name
  • Update Time : শুক্রবার, ২১ মে, ২০২১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

১৬০ জন যাত্রী নিয়ে চলছিল বুলেট ট্রেন। গতি তখন ঘণ্টায় ১৫০ কিলোমিটার। এমন অবস্থাতেই কি না কন্ডাক্টরের কাছে ট্রেনের নিয়ন্ত্রণ ছেড়ে চালক গেলেন প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে! আর ট্রেনের নিয়ন্ত্রণ কি না ছেড়ে দিয়ে গেলেন একজন কন্ডাক্টরের কাছে, যার বুলেট ট্রেন চালানোর লাইসেন্সই নেই!

বিবিসির খবর বলছে, জাপানের শিজুকা এলাকায় এমন ঘটনাই ঘটেছে। সেন্ট্রাল জাপান রেলওয়ে কোম্পানি (জেআর সেন্ট্রাল) জানিয়েছেন, এ ঘটনার জন্য চালককে শাস্তির মুখে পড়তে হতে পারে। যে কন্ডাক্টরকে তিনি দায়িত্ব দিয়েছিলেন, শাস্তি পেতে হতে পারে তাকেও।

জানা গেছে, গত রোববার শিজুকা এলাকায় ঘণ্টায় ১৫০ কিলোমিটার গতিতে চলছিল বুলেট ট্রেনটি। এমন সময় ৩৬ বছর বয়সী চালকটির পেট ব্যথা দেখা দেয়। প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে দ্রুত টয়লেট যাওয়ার প্রয়োজন পড়ে তার। একজন কন্ডাক্টরকে ডেকে ট্রেনের ককপিটে বসিয়ে দেন, নিজে চলে যান টয়লেটে।

জেআর সেন্ট্রাল জানিয়েছে, তিন মিনিটের মতো টয়লেটে ছিলেন ওই চালক। আর যে কন্ডাক্টরকে তিনি ককপিটে বসিয়ে গিয়েছিলেন, তার বুলেট ট্রেন চালানোর কোনো লাইসেন্স ছিল না। ফলে ১৬০ জন যাত্রীর প্রাণ ঝুঁকির মধ্যে ছিল।

এ ঘটনায় শেষ পর্যন্ত কোনো ক্ষতি হয়নি কারওই। তারপরও রেলওয়ে কোম্পানিটি কর্তৃপক্ষকে ঘটনাটি জানিয়ে ক্ষমাপ্রার্থনা করেছে। কারণ তাদের বিধিমালায় বলা আছে, যদি কোনো চালক অসুস্থবোধ করেন, তাকে পরিবহন কমান্ড সেন্টারে যোগাযোগ করতে হবে। প্রয়োজনে তারা কোনো কন্ডাক্টরকেও ট্রেনের নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব দিতে পারেন, যদি ওই কন্ডাক্টরের ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকে।

জেআর সেন্ট্রালের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা মাশাহিরো হায়াতসু সাংবাদিকদের বলেন, এটি চূড়ান্ত রকমের অনুচিত একটি কাজ। আমরা এর জন্য ক্ষমাপ্রার্থী।

জাপান বলেই এ ঘটনায় শোরগোল একটু বেশি হচ্ছে। দেশটির রেলওয়ে পরিসেবা সুদক্ষভাবে এবং কঠোর বিধিনিষেধের মধ্য দিয়ে পরিচালিত হয়ে আসছে। নিরাপত্তার দিক থেকেও তারা অনেক এগিয়ে। বিজ্ঞাপন

জাপানের বুলেট ট্রেনের নেটওয়ার্ককে বলা হয়ে থাকে শিনকানসেন। এর ৫৭ বছরের ইতিহাসে একটি দুর্ঘটনার নজিরও নেই। জাপানে সাধারণ ট্রেন দুর্ঘটনাও বিরল। সবশেষ ২০০৫ সালে পশ্চিম জাপানের আমাগাসকি শহরে একটি ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে পড়েছিল। ওই দুর্ঘটনায় ১০৭ জন মারা যান।

More News Of This Category
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি