ঢাকা: করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ ঠেকাতে চলমান বিধিনিষেধ আগামী ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হচ্ছে। তবে এর সঙ্গে নতুন করে কোনো শর্ত যোগ হচ্ছে না। সোমবার (১৯ এপ্রিল) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক বৈঠকের পর জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এ তথ্য জানান।
জনপ্রশাসন মন্ত্রী বলেন, চলমান পরিস্থিতি নিয়ে সকালে মন্ত্রিপরিষদে সংশ্লিস্ট কর্মকর্তাদের নিয়ে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বর্তমান পরিস্থিতিতে এ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি আরও সাতদিন লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর সুপারিশ করেছে। কমিটির সুপারিশ ও বর্তমান প্রেক্ষাপট চিন্তা করেই ২২ এপ্রিল থেকে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত চলমান সিদ্ধান্ত অব্যাহত রাখা হচ্ছে। তবে আগের বিধিনিষেধে যে শর্ত ছিলো তাই বহাল থাকবে।
তিনি বলেন, চলমান সিদ্ধান্ত আরও সাতদিন রাখা হলে হয়ত সংক্রমণ কমতে পারে বলে ধারণা করছি। অন্যদিকে সামনে ঈদ আসছে, ব্যবসায়ীদের বিষয়টাও চিন্তা করতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, সংক্রমণ কমানোর জন্য মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মানার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। যতদিন এর কোনো স্থায়ী সমাধান না হচ্ছে, ততদিন প্রত্যেক ব্যক্তিকে ঘরের বাইরে গেলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সংশ্লিষ্ট এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, ইতোমধ্যে এ সংক্রান্ত সামারি প্রধানমন্ত্রীর অনুমতির জন্য পাঠানো হয়েছে। তিনি অনুমতি দিলে প্রজ্ঞাপন জারি করবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
এর আগে, আরও এক সপ্তাহ লকডাউন বাড়ানোর চিন্তা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি জানান, ঈদের আগেই লকডাউন শিথিল করার চিন্তাও রয়েছে।
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকার প্রথমে ১৮ দফা নির্দেশনা দেয়। পরে ৯ দিনের জন্য আরও ১১ দফা বিধিনিষেধ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এরপরেও সংক্রমণ বাড়তি থাকায় গত ১৪ এপ্রিল থেকে সব ধরনের প্রতিষ্ঠান, গণপরিবহন বন্ধ রেখে শর্ত সাপেক্ষে শিল্প-কারখানা, হাট-বাজার খোলা রেখে এক সপ্তাহের লকডাউন জারি করা হয়।