নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ভ্যাকসিন প্রয়োগ কার্যক্রমে যুক্ত হলো আরও সাত লাখ ৮১ হাজার ডোজ ভ্যাকসিন। কোভ্যাক্সের আওতায় জাপান থেকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার এই ভ্যাকসিন দেশে এসেছে।
শনিবার (৩১ জুলাই) বেলা তিনটার দিকে হংকং এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ভ্যাকসিনের ডোজগুলো এসে পৌঁছায়। স্বাস্থ্য অধিদফতরের ভ্যাকসিন ডেপ্লয়মেন্ট কমিটির সদস্য সচিব ডা. শামসুল হক সারাবাংলাকে তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘৩১ জুলাই বিকেল ২টা ৫০ মিনিটে ভ্যাকসিনবাহী বিশেষ বিমান দেশে এসেছে। এই বিমানে ৭ লাখ ৮১ হাজার ৩২০ ডোজ ভ্যাকসিন রয়েছে।’
বিমানবন্দরে ছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। এই ভ্যাকসিন কেন্দ্রীয় ইপিআই স্টোরের ওয়াক ইন কুলার রুমে সংরক্ষণ করা হবে।
এ সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আগামী ৭ আগস্ট থেকে দেশের ইউনিয়ন পর্যায়ে করোনা ভ্যাকসিন প্রয়োগ কর্মসূচি শুরু করতে যাচ্ছি। এর জন্য প্রতিটি ইউপিতে ভ্যাকসিন প্রদানের কেন্দ্র করা হবে। একটি কেন্দ্রে তিনটি বুথ থাকবে। সারাদেশে সপ্তাহে এক কোটির বেশি মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।’
তিনি বলেন, ‘এ পর্যন্ত ২ কোটি ৩৯ লাখ ডোজ করোনা ভ্যাকসিন আমরা পেয়েছি। এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৩০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। অবশিষ্ট রয়েছে ১ কোটি ২১ লাখ ৮৯ হাজার ডোজ ভ্যাকসিন।’
আগামী মাসে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার আরও ৩৪ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন বাংলাদেশে আসছে বলেও জানান তিনি।